আরজি কর কাণ্ডের রেশ এখনও কাটেনি (Nadia)। শিয়ালদহ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে (Nadia)। সিবিআই সঞ্জয় ঘোষকে কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তির দাবি জানিয়েছে শিয়ালদহ আদালত (Nadia)। আগামী সপ্তাহে সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণা হতে পারে এই পরিস্থিতিতে আরজি করের নাম করে এক চিকিৎসককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল সেই হাসপাতালেরই (Nadia) সুপারের বিরুদ্ধে।
নদিয়ার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার চিকিৎসক তারক বর্মণের বিরুদ্ধে এক মহিলা চিকিৎসককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীনির দাবি, সুপার তাঁকে বলেছেন, “কথা না শুনলে দ্বিতীয় তিলোত্তমা ঘটিয়ে দেব।” এই বক্তব্যে আতঙ্কিত ওই চিকিৎসক বিষয়টি থানায় এবং স্বাস্থ্য দফতরে জানিয়েছেন।
জানা গেছে, তিন মাস আগে প্যাথলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে হাসপাতালে কাজে যোগ দেন ওই মহিলা চিকিৎসক। তাঁর অভিযোগ, কাজে যোগদানের পর থেকেই সুপার তাঁর ওপর মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছেন। প্যাথলজি বিভাগে কাজ করার বদলে জোর করে ইমার্জেন্সি এবং নাইট ডিউটি করতে বাধ্য করা হয় তাঁকে। প্রতিবাদ করলে তিনি তীব্র হুমকির মুখে পড়েন।
ঘটনার পর তিনি শান্তিপুর থানায় সুপারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং স্বাস্থ্য দফতরের কাছে অন্যত্র বদলির আবেদন করেছেন। তাঁর দাবি, “আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। সুপার আমাকে বারবার চাপ সৃষ্টি করছেন এবং কাজের অস্বাভাবিক চাপ সামলাতে পারছি না। আমি অবিলম্বে অন্যত্র বদলি চাই।”
অন্যদিকে, সুপার তারক বর্মণ অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।” তিনি আরও বলেন, যা বলার সিএমওএইচ বলবেন।
জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষ চন্দ্র দাস জানিয়েছেন, অভিযোগ জেলা স্বাস্থ্য দফতরে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “যদি ওই চিকিৎসককে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়, তবে আমার কোনো আপত্তি নেই।” তবে তিনি উল্লেখ করেছেন, ওই চিকিৎসক মানসিক রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এই ঘটনা নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মহিলাদের নিরাপত্তা ও কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।