দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অন্তর্গত ১৩৫টি ব্ল্যাক স্পটের কথা উঠে এসেছে বিএসএফের (BSF) সাম্প্রতিক রিপোর্টে। এই এলাকাগুলি দিয়ে বারবার অনুপ্রবেশ এবং পাচারকার্যের ঘটনা ঘটেছে (BSF)। বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের তরালি-১ সীমান্ত এলাকা (BSF)।
তরালি-১ এলাকা ভারতের ভূখণ্ডে অবস্থিত, যার সীমানা ঘেঁষে সোনাই নদী। নদীর ওপারে বাংলাদেশের সাতক্ষীরার কেড়াগাছি অঞ্চল। এলাকায় কাঁটাতার নেই, এমনকি নেই পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থাও। নদীটি গভীরতায় ১৪-১৫ ফুট হলেও এর প্রস্থ ক্রমশ সঙ্কুচিত হয়ে ছোট নালায় পরিণত হয়েছে। বিএসএফ জওয়ানদের জন্য এই সীমান্ত নজরদারি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। কুয়াশাচ্ছন্ন অন্ধকারে সার্চলাইট ও তাদের অভিজ্ঞ চোখের উপরই ভরসা করতে হয়। কোথাও ৫০০ মিটার, কোথাও ৭০০ মিটার অন্তর একেকজন জওয়ান মোতায়েন।
সন্ধ্যা নামতেই নদীপথ ব্যবহার করে পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। মাদক এবং অন্যান্য সামগ্রী নিমেষে জলপথ দিয়ে পাচার হয়ে যায়। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অবস্থা খারাপ হলে এই সীমান্তে অনুপ্রবেশকারীদের গতিবিধি বাড়তে দেখা যায়।
বিএসএফ সূত্রের খবর, তরালি-১ এলাকায় বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শীর্ষ কর্তারা স্বীকার করেছেন যে অনুপ্রবেশ পুরোপুরি রোখা সম্ভব হয়নি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় চ্যালেঞ্জ থাকলেও জওয়ানরা অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করছেন। বিএসএফের দাবি, ভবিষ্যতে অনুপ্রবেশ রোধে আরও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারতে অনুপ্রবেশের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে যেসমস্ত এলাকায় কাঁটাতার নেই, সেই সমস্ত এলাকায় বেড়ে গিয়েছে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা। পরিস্থিতি জটিল হয়ে যাচ্ছে। মালদায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের একটি জায়গায় ১০০ মিটারের বেশি এলাকায় কাঁটাতার নেই। বিএসএফ সেখানে কাঁটা তারের বেড়া দিতে গেলে বিজেবি বাধা দেয়। যার জেরে সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও পড়ে বিএসএফ সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে, এবং কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ করে।