গোটা দেশ দীপাবলির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভারতের শেয়ার বাজারও দীপাবলির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ১ নভেম্বর চলতি বছরের মুহুরত ট্রেডিংয়ের (Muhurat Trading) দিন। ভারতের সংস্কৃতিতে ট্রেডিংয়ের (Muhurat Trading) জন্য এই দিনটিকে শুভ মনে করা হয়। এক ঘণ্টার জন্য শেয়ার মার্কেট খোলা হয়। সেই সময় লেনদেন সেরে নেন বিনিয়োগকারীরা(Muhurat Trading) । কয়েক দশক ধরে ভারতে মুহুরত ট্রেডিং (Muhurat Trading) চলে আসছে। ১৮৫৭ সাল থেকে ভারতে মুহুরত ট্রেডিং চলছে।
ভারতীয় সংস্কৃতিতে মনে করা হয়, দীপাবলির দিন লেনদেন করা অত্যন্ত শুভ। এই দিন লেনদেন করতে ভালো রিটার্ন পাওয়া যায়। এই ধারণা থেকেই বিনিয়োগকারীরা মুহুরত ট্রেডিংয়ে বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন। প্রসঙ্গত, দীপাবলির দিন মুহুরত ট্রেডিং হয়। কিন্তু প্রাথমিকভাবে চলতি বছরে কবে মুহুরত ট্রেডিং হবে, তা স্থির করা যাচ্ছিল না। কারণ ৩১ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর দুই দিনই দীপাবলি পড়েছে। যার ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছিল। ন্যাশাল স্টক এক্সচেঞ্জের তরফে ১ নভেম্বরকে মুহুরত ট্রেডিংয়ের দিন হিসেবে স্থির করা হয়েছে।
শেয়ার বাজারের ওঠা নামা এই বিশেষ দিনের ট্রেডিংয়ের ওপর নির্ভর করে না। হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে এই দিনটিকে অত্যন্ত পবিত্র মনে করা হয়। সেখান থেকেই এই দিনে বিনিয়োগ করার রীতি শুরু হয়েছে। এই বিনিয়োগ ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে। এই দিন বহু ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী পুজো করার পাশাপাশি অ্যাকাউন্ট বই ও ট্রেডিং টুলগুলোর পুজো করেন। ধন-সম্পদের বৃদ্ধির আশায় এই দিন পুজো করা হয়।
চলতি বছরের মুহুরত ট্রেডিং শুরু হচ্ছে ১ নভেম্বর বিকেল ছটা থেকে সাতটা পর্যন্ত। “মুহুর্ত” শব্দটি সংস্কৃত শব্দ থেকে এসেছে “শুভ সময়” এবং এই ট্রেডিং সেশনটি সাধারণত দীপাবলির সন্ধ্যায় প্রায় এক ঘন্টা স্থায়ী হয়। দীপাবলির সময় লক্ষী পুজো হয়। সেই লক্ষী পুজোর সময়কে সামনে রেখে মুহুরত ট্রেডিংয়ের সময় নির্ধারণ করা হয়। এই মুহুরত ট্রেডিং দেবী লক্ষীকে উৎসর্গ করা হয়। প্রতি বছর মুহুরত ট্রেডিংয়ের সময় পরিবর্তন হয়। ২০২৩ সালে উদাহরণস্বরূপ মুহুরত ট্রেডিং সেশন সন্ধে ৬.১৫ এর সময় শুরু হয়েছিল এবং ৭.১৫তে বন্ধ হয়েছিল।