জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন (Hunger Strike) নিয়ে এবার রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখল দিল্লি এইমস রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন। তাঁরা রাষ্ট্রপতির (Hunger Strike) হস্তক্ষেপের আবেদন করেন। এই চিঠিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের পরিস্থিতি (Hunger Strike) ভয়াবহ বলে উল্লেখ করা হয়।
এইমস রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, ডাক্তাররা যাঁরা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মেরুদণ্ড, তাঁরা বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে প্রতিবাদ (Hunger Strike) চালাচ্ছেন। কর্মক্ষেত্রে ন্যায় বিচারের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র চিকিৎসকরা বিপজ্জনকভাবে(Hunger Strike) প্রতিবাদ করছেন। চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, অনশন সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে কোনও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করা হয়নি। তাই এ নিয়ে এবার রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চাইল এইমসের রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন।
পুলিশের ওপর মানুষের ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় যানজট নিয়ন্ত্রণে করতে যান মঙ্গলবার ধর্মতলায়। সেখানে জুনিয়র চিকিৎসকদের ডাকে সাধারণ মানুষ মানব বন্ধন করেছিলেন। ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়কে সেখানে দেখতে পেয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মানব বন্ধনে অংশ নেওয়া সাধারণ মানুষ। তাঁরা ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়কে দেখেই গো ব্যাক স্লোগান তুলতে থাকেন। বিতর্কিত সাংবাদিক বৈঠক নিয়ে তির্যক মন্তব্য করতে থাকেন জনতা।
এই আন্দোলনের ওপর বার বার চাপ প্রয়োগের অভিযোগ উঠছে মমতা প্রশাসনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দ্রোহের কার্নিভালের ডাক দিয়েছিলেন সিনিয়র চিকিৎসকদের একটি সংগঠন। কিন্তু সেটাকে বন্ধ করা দেওয়ার জন্য পুলিশ ১৬৩ ধারা জারি করে। ছ ফুট লোহার ব্যারিকেট ও লোহার চেন দিয়ে রাস্তা আটকে রাখে। যদিও হাইকোর্টে মুখ পোড়ে কলকাতা পুলিশের। ব্যারিকেড, ছিল সারি সারি বেসরকারি বাস। যদিও আদালতের নির্দেশের পরেই বদলাল ছবি। রানি রাসমণি রোডে চিকিৎসকদের ‘দ্রোহের’ কার্নিভালে অনুমতি আদালতের। জয়েন্ট ফোরাম অফ ডক্টর্সকে অনুমতি বিচারপতি রবি কিষাণ কপূরের। দ্রোহের কার্নিভাল রুখতে ধর্মতলা সংলগ্ন এলাকায় গতকাল থেকে BNSS ১৬৩ ধারা লাগু করে পুলিশ। হাইকোর্ট দ্রোহের কার্নিভালে অনুমতি দেওয়ার পরেই অসংখ্য মানুষ ধর্মতলা চত্বরে আসতে শুরু করেন।