ধর্মতলার সঙ্গে সঙ্গে উত্তরবঙ্গে দুই জন জুনিয়র চিকিৎসক আমরণ অনশন (Hunger Strike) করছেন। তাঁদের মধ্যে একজন জুনিয়র চিকিৎসক(Hunger Strike) আলোক বর্মার শারীরিক অবস্থা অবনতি হতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, শরীরে কটোনবডির পরিমাণ ব্যাপকহারে বেড়ে গিয়েছে(Hunger Strike) । পাশাপাশি শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়ছে। প্রভাব পড়তে শুরু করেছে কিডনিতে এবং লিভারে। হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। উত্তরবঙ্গে আলোক বর্মাকে (Hunger Strike) নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
১০ তারিখ রাতে অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে। যার জেরে অনিকেত মাহাতোকে আরজি করে ভর্তি করা হয়। জানা গিয়েছে, অনিকেত মাহাতোর বর্তমান অবস্থা স্থিতিশীল। তবে সঙ্কট এখনও কাটেনি। অনশনের প্রভাব লিভার ও কিডনিতে পড়েছে। আজকে জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোর বাবা আরজি করে আসেন। ছেলের সঙ্গে দেখা করেন।
অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো অসুস্থ হওয়ার নাটক করছেন। তিনি সূত্র থেকে এই খবর জানতে পেরেছেন বলেও জানান। কুণাল ঘোষ বলেন ‘সিপিআইএমের নাটকবাজি দেখার অনিচ্ছায় আগেই ধর্মতলা থেকে আরজি করে চলে গিয়েছিল এসইউসির অনিকেত। একদিন পরে অনশনে এসে সকলের আগে অসুস্থ হওয়ার পরিস্থিতি ওঁর ছিল না।’ তবে কুণাল ঘোষের মন্তব্যে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। এক নেটিজেন বলেন, ‘সবাই কি আর চকোলেট, চিকেন স্যান্ডউইচ খেয়ে অনশন করেন? ছেলেটা শেষ তিন মাস ধরে ফ্রন্টলাইন থেকে লড়ছে। কী অসম্ভব স্ট্রেসের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। এটা স্বাভাবিক যে ওর শরীর খারাপ হবে।’ অন্য এক নেটিজেন লিখেছেন, চকোলেট, জ্যুস, স্যান্ডউইচ সমৃদ্ধ অনশন ও করেনি। তাই ও পারেনি।
প্রসঙ্গত, ৫ অক্টোবর ছয় জন জুনিয়র চিকিৎসক হাসপাতালে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলের সামনে অনশনে বসেন। তার একদিন পর অর্থাৎ রবিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও উত্তরবঙ্গ ডেন্টাল কলেজের দুই জন অনশন শুরু করেন। ধর্মতলায় অনশন শুরু করেন অনিকেত মাহাতো।