রবিবার রাতেই গুরুতর অসুস্থ (Hunger Strike) অবস্থায় জুনিয়র চিকিৎসক পুলস্ত আচার্যকে নীল রতন সরকারের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে অনশনকারী (Hunger Strike) জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো, আলোক ভর্মা ও অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়কে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল। এবার ধর্মতলার অনশন মঞ্চে (Hunger Strike) গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন জুনিয়র চিকিৎসক তনয়া পাঁজা। তনয়া পাঁজাকে বার বার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য আবেদন জানানো হচ্ছে। কিন্তু তিনি অনশন (Hunger Strike) মঞ্চ ছেড়ে যেতে নারাজ।
জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে, তনয়ার রক্তচাপ কমে হয়েছে ৭০/৯৮। এদিকে তাঁর নাড়ির গতি ৭৮। এছাড়া তাঁর ক্যাপিলারি ব্লাড গ্লুকোজ বা সিবিজি ছিল ৬৩। উল্লেখ্য, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সিবিজি ৬০-এর নীচে নেমে গেলে তা উদ্বেগের কারণ হতে পারে। কিডোন বডির মাত্রা ৩+ > সেই ক্ষেত্রে কিডনি খারাপ হয়ে যেতে পারে। উল্লেখ্য, তনয়া মেডিক্যাল কলেজের ইএনটি (নাক, কান, গলা সংক্রান্ত) বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট। তনয়ার শারীরিক হাল হকিকত নিয়ে জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার জানান, অনশনকারী চিকিৎসকের মাথা ঘুরছে। আপাতত অবস্থানমঞ্চেই মেডিক্যাল টিমের পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি।
অন্যদিকে, পুলস্তের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে উদ্বেগ এখনও কাটেনি। একের পর এক অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা রাজভবন অভিযান শুরু করেছে। যেখানে বহু সাধারণ মানুষ মানুষ, প্রবীণ মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। রাজভবনে গিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন। কলকাতা পুলিশের পর সিবিআইয়ের তদন্তে কার্যত হতাশ জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেই প্রেক্ষিতে তাঁরা রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন।
১৫ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার পুজো কার্নিভাল হবে। এদিন সিনিয়র চিকিৎসকরা দ্রোহের কার্নিভালের ডাক দিয়েছেন। যদিও এই নিয়ে রাজনৈতিক চাপান-উতোর চলছে। মুখ্য সচিব সিনিয়র চিকিৎসকদের এই দ্রোহের কার্নিভাল থেকে সরে আসার আহ্বান করেন। কিন্তু চিকিৎসকরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দ্রোহের কার্নিভাল হবেই।