উত্তরবঙ্গে অনশনরত (Hunger Strike)দুই জুনিয়র চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। ১২২ ঘন্টার বেশি সময় ধরে অনশনে (Hunger Strike) উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ২ জুনিয়র চিকিৎসক। ঘন ঘন তাঁদের শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা (Hunger Strike) করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে তাঁদের জন্য ICU প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাঁরা এখনই ভর্তি হতে চাইছেন না। অন্যদিকে, অনিকেতের অবস্থা কিছু স্থিতিশীল হলেও অবস্থা উদ্বেগ জনক।
আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, লিভার ঠিকমতো কাজ করছে না বলে আশঙ্কা। সেই সঙ্গে কিডনির সমস্যাও রয়েছে। আগে থেকেই রক্তচাপ সংক্রান্ত সমস্যা ছিল অনিকেতের। তার জেরেই বেড়েছে জটিলতা। সিসিইউতে ডাক্তারদের কড়া নজর অনিকেতের উপর। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়াচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেতের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে।
অষ্টমীর দিন সন্ধেবেলা ধর্মতলার অনশন মঞ্চে মহা সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। এই সমাবেশে সাধারণ মানুষকে যোগদানের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। সমাবেশের পর বিভিন্ন জায়গায় বিলি করা হবে জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবি-সম্বলিত লিফলেট।
বৃহস্পতিবার জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে একই অনশন মঞ্চে সিনিয়র চিকিৎসকরা প্রতীকি অনশন করেন। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। আরজি করের চিকিৎসক সৈকত নিয়োগী সপ্তমীর সকালে জুনিয়র চিকিৎসকদের পরীক্ষা করে জানান। তিনি পরীক্ষা করে বলেন, অনিকেতের অবস্থা বিপজ্জনক। চিকিৎসক জানান, অনিকেতের দেহে কিটোন বডির উপস্থিতি মিলতে শুরু করেছে। কিটোন বডির পরিমাণ ৩+। কিটোন বডি বাড়তে থাকলে কিটো অ্যাসিডোসিস হয়ে কোমায় যেতে পারে রোগী। ধীরে ধীরে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিকল হতে পারে।
অন্যদিকে, ধর্মতলায় ১০ দফা দাবি নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা অনশন করছেন। ইতিমধ্যে অনশনের পাঁচ দিন পার হয়ে গেছে। অষ্টমীর দিন বিকালে ধর্মতলার অনশন মঞ্চে আসছেন আরভি অশোকন। বিকেলে ক্রিক রো-র IMA-র অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করবেন তিনি। এবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি সিনিয়র চিকিৎসক ও নার্সদের সংগঠন। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিগুলি সংবেদনশীলতার সঙ্গে বিবেচনা করুন। ‘আন্দোলনকারীদের সঙ্গে অবিলম্বে আলোচনায় বসুন’। ‘জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মিটিয়ে জটিলাবস্থা কাটান’। মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করে চিঠি মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টার, সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম ও নার্সেস ইউনিটির।