স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে (Sonarpur)। পরে আত্মঘাতী হয় স্বামী (Sonarpur)। ঘটনায় সোনারপুর এলাকায় (Sonarpur) ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বাড়িতে সেই সময় আড়াই বছরের শিশু ছিল (Sonarpur)। সেই শিশুটি ক্রমাগত কাঁদতে থাকে (Sonarpur)। তাতেই প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। প্রতিবেশীরা বাড়িতে ঢুকে দেখতে পান, গলাকাটা অবস্থায় স্ত্রীর দেহ পড়ে রয়েছে (Sonarpur)। স্বামী দেহ ঝুলছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে (Sonarpur)। সোনারপুর থানার পুলিশ দেহ দুটোকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
সোনারপুরে একটি ভাড়া বাড়ি থেকে শনিবার সকালে স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরেই স্ত্রীকে ঘুমন্ত অবস্থায় খুন করে আত্মহত্যা করেছেন শশধর হালদার (৩৪)। স্ত্রীর গলা ফল কাটার ছুরি দিয়ে কাটা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে সেই ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত আট মাস ধরে সোনারপুরে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন শশধর হালদার, স্ত্রী পায়েল হালদার (২৪) এবং তাঁদের আড়াই বছরের ছেলে। পারিবারিক অশান্তি ছিল প্রায়শই। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ঝগড়া মাঝেমধ্যেই হতো, কিন্তু এমন ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে, তা তাঁরা কল্পনাও করতে পারেননি।
শনিবার সকাল থেকেই বাড়ি থেকে শিশুটির কান্নার আওয়াজ ভেসে আসতে থাকে। প্রতিবেশীরা ও বাড়ির মালিক বিষয়টি লক্ষ্য করেন। বাচ্চাটি বাইরে বেরিয়ে এলে সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা ঘরে ঢোকেন। ঘরের দৃশ্য দেখে সবাই হতবাক। শশধরকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়, আর বিছানায় পড়েছিল পায়েলের রক্তাক্ত দেহ। বাড়ির মালিক সোনারপুর থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ দুটি উদ্ধার করে এবং তদন্ত শুরু করে। বাড়ির মালিক ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির কারণেই এই মর্মান্তিক ঘটনা।
ঘটনার সময় শিশুটি ঘরে উপস্থিত ছিল, তবে সে অক্ষত। পুলিশ পারিবারিক পরিস্থিতি এবং দম্পতির ঝগড়ার পেছনের কারণ খতিয়ে দেখছে। আরও তথ্যের জন্য প্রতিবেশীদের পাশাপাশি পরিচিতদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রতিবেশীরা এমন নৃশংস ঘটনার পর থেকে ভীষণ আতঙ্কিত।