মুম্বই: নির্বাচনী তথ্যে ‘কারচুপি’র অভিযোগে দ্য সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অফ ডেভেলপিং সোসাইটিস (CSDS)-কে কারণ দর্শানোর নোটিশ (ICSSR Notice) পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চ (ICSSR)। ICSSR-এর দাবি, CSDS নির্বাচনী তথ্যে কারচুপি করে নির্বাচন কমিশনের অখণ্ডতা নষ্ট করার চেষ্টা করেছে।
কি হয়েছে?
গত বছর মহারাষ্ট্র নির্বাচনের সময়কার দুটি বিধানসভা আসনের ভোটার উপস্থিতি নিয়ে একটি তথ্য প্রকাশ করেন CSDS-এর নির্বাচন বিশ্লেষক অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার। তার পোস্টে দাবি করা হয়েছিল, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় এই দুটি আসনে ভোটার উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। দুই নির্বাচনের মধ্যে সময়ের ব্যবধান ছিল প্রায় ছয় মাস। এই তথ্যটি X-এর মতো মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
তবে, পরে অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার তার পোস্টটি সরিয়ে নেন এবং ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য ক্ষমা চান। তিনি জানান, তার ডেটা টিম তথ্য পড়ার সময় ভুল করেছিল এবং ভুলবশত সেই ডেটা পোস্ট করা হয়েছিল। তার এই ভুলের কারণে বিতর্ক তৈরি হয় এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে ICSSR এই পদক্ষেপ নেয়।
ICDSSR – এর বক্তব্য
ICSSR, যা সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক গবেষণার ক্ষেত্রে সরকারের শীর্ষ সংস্থা, এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে তারা CSDS-এর মতো একটি কাউন্সিল-সমর্থিত প্রতিষ্ঠানের এমন কার্যকলাপকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে। তাদের মতে, এটি ICSSR-এর অনুদান নিয়মের গুরুতর লঙ্ঘন।
ICSSR আরও বলেছে যে তারা ভারতের নির্বাচন কমিশনকে সর্বোচ্চ সম্মান করে, যা বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় দশকের পর দশক ধরে কাজ করে আসছে। এই ধরনের ভুল তথ্যের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা ICSSR সহ্য করবে না।
রাজনৈতিক চাপানউতোর
এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপি অভিযোগ করে, কংগ্রেস “ভোটার চুরি” সম্পর্কে ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়ানোর জন্য CSDS-এর সঙ্গে আঁতাত করছে। অন্যদিকে, বিজেপি আরও দাবি করে যে CSDS “জাতীয় স্বার্থের” বিরুদ্ধে কাজ করা রাজনৈতিক দলগুলির কাছ থেকে বিদেশী তহবিল পাচ্ছে। যদিও এই অভিযোগের কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি।
CSDS এখনও ICSSR-এর নোটিশের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।