Illegal Intruder: অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে সীমান্তে আটক বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

উত্তর ২৪ পরগনা:  উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাকিমপুর সীমান্ত থেকে অবৈধভাবে (Illegal Intruder) ভারতে প্রবেশের চেষ্টার সময় এক বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শনিবার সন্ধ্যায় এই বিরল ঘটনাটি ঘটে। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আটককৃত ওই ব্যক্তি বাংলাদেশের একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা। তবে তদন্তের স্বার্থে তার পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে হাকিমপুর সীমান্ত ফাঁড়ির কাছে নিয়মিত টহল দেওয়ার সময় বিএসএফ জওয়ানরা ওই ব্যক্তিকে সন্দেহজনক অবস্থায় ঘোরাফেরা করতে দেখেন। তাকে আটক করে তল্লাশি চালানোর পর তার কাছ থেকে কিছু পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়, যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে তিনি একজন বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা।

আটকের পরপরই তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয় এবং পরে আরও তদন্তের জন্য রাজ্য পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এটি একটি অত্যন্ত বিরল ঘটনা, যেখানে বাংলাদেশের একজন কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা অবৈধভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টা করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ৪,০৯৬ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ, যার প্রায় ২,২১৭ কিলোমিটার পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত। এটি বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং প্রায়শই অনুপ্রবেশ, চোরাচালান এবং অবৈধ পারাপারের ঘটনা এখানে ঘটে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা, তার ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল এবং শহুরে এলাকার কাছাকাছি অবস্থানের কারণে বিশেষভাবে সংবেদনশীল। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই এলাকাটি চোরাকারবারী, দালাল এবং কখনও কখনও সংগঠিত গোষ্ঠীর অবৈধ পারাপারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ করিডোর হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

বিএসএফ এই সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন, গবাদি পশুর চোরাচালান, মাদক এবং জাল মুদ্রা পাচার রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বছরের পর বছর ধরে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে বিএসএফ উন্নত নজরদারি ব্যবস্থা এবং কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।

একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, “একজন কর্মরত বাংলাদেশি পুলিশ অফিসারের গ্রেপ্তার একটি অত্যন্ত গুরুতর অনুপ্রবেশের ঘটনা, যা সীমান্তের আন্তঃসীমান্ত গতিবিধি এবং তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে উদ্বেগ তৈরি করেছে।” কর্মকর্তারা আরও জানান, ওই ব্যক্তি কী কারণে ভারতে প্রবেশ করতে চাইছিলেন এবং তিনি কোনো অপরাধী চক্রের সঙ্গে যুক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চলছে। এই ধরনের ঘটনা সীমান্তে নিরন্তর নজরদারির গুরুত্বকে আরও একবার তুলে ধরেছে। রাজ্য পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানো হচ্ছে।