শনিবার রাতেই শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে অভিযান চালিয়ে কলকাতা পুলিশের বিশেষ দল একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে (Farakka)। ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে (Farakka)। বার আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের অভিযোগে রেল সাবওয়ে থেকে তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে (Farakka)। শনিবার রাতে নিউ ফারাক্কা জিআরপি তাঁকে গ্রেফতার করেছে (Farakka)। কিছু দিন এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় (Farakka) । তাঁকে জেরা করেই তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েতের এই সদস্যের হদিশ পাওয়া যায় (Farakka)।
আবদুল রসিদ নামের ওই ব্যক্তি মালদা জেলার বৈষ্ণবনগর থানার শোভাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল সদস্য। নিউ ফারক্কা জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৭ অক্টোবর তৌসিফ আলি নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে একাধিক আগ্নেয়াশস্ত্র, কার্তুজ, ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই পঞ্চায়েত সদস্যের কথা জানতে পারে পুলিশ। জানা গিয়েছে, তিনি অস্ত্রপাচারের মূল পাণ্ডা।
বাংলাদেশে মূলত অস্ত্র পাচার করত আবদুল রসিদ নামের এক ব্যক্তি। বাজেয়াপ্ত আগ্নেয়াস্ত্রগুলি বাংলাদেশের এক ব্যক্তির কাছে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় বিক্রির পরিকল্পনা ছিল আবদুলের। তবে হাত বদলের আগে আগ্নেয়াস্ত্রগুলোকে বিহারের আরায় মেরামতের জন্য তৌসিককে পাঠায়। কিন্তু নিউ ফারাক্কা আরপির হাতে তৌসিক ধরা পড়ে। তাকে জেরা করেঅ আবদুল রসিদের নাম জানতে পারে পুলিশ। আবদুল রসিদকে রবিবার আদালতে তোলা হয়েছে। পুলিশ সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
অন্যদিকে, খোদ কলকাতার শিয়ালদহের বৈঠকখানা রোডে পাওয়া গেল অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশ । গোপনসূত্রে খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। শিয়ালদহের মতো জায়গায় এই ঘিঞ্জি এলাকায় কীভাবে আগ্নেয়াশস্ত্র এল নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এসটিএফ গোটা এলাকাটি ঘিরে ফেলে অভিযান চালায়। ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। কলকাতা পুলিশের কাছে খবর ছিল, মুঙ্গের থেকে অস্ত্র আসছে। শিয়ালদহের বৈঠকখানা রোডে সেই অস্ত্র হাতবদল হওয়ার কথা ছিল। সেই খবর পাওয়ার পরেই সাদা পোশাকে পুলিশ বৈঠকখানা রোড পুরো ঘিরে ফেলে। পরে পুলিশ অস্ত্রগুলো বাজেয়াপ্ত করে। ঘটনায় এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।