বাবা-মায়ের সামনে ফুটপাথ (Kolkata) থেকে শিশুকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। কলকাতার (Kolkata) বড়তলা থানার অন্তর্গত বিডন স্ট্রিটের ঘটনায় নতুন করে প্রশ্নের মুখে রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাজ্যের (Kolkata) নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণেদিত (Kolkata) পদক্ষেপ করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে (Kolkata) ডিজি ও সিএস-কে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, যদি সত্যি এই ঘটনা ঘটে, সেক্ষেত্রে বলতে হবে রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। রাজ্যে সমাজ বিরোধীরা নির্ভয়ে অপকর্ম করে বেড়াতে পারছে। এই বিবৃতি দেওয়ার পরেই রাজ্যের মুখ্য সচিব ও ডিজিকে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে। পাশাপাশি শিশুটির বর্তমানে শারীরিক অবস্থা কী ও শিশুটির পরিবারকে কী কী সাহায্য করা হয়েছে সেই বিষয়েও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার গভীর রাতে ফুটপাথে ঘুমন্ত বাবা-মায়ের পাশ থেকে সাত মাসের শিশু কন্যাকে তুলে নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। পরের দিন, শনিবার সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটির খোঁজ মেলে এলাকারই এক অন্য ফুটপাথে। তদন্ত শুরু করে ফুটপাথ সংলগ্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। তাতেই দেখা যায় উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে এক যুবক। পায়ে সমস্যা রয়েছে। সেখান থেকে পুলিশ অভিযুক্তের সন্ধান পায়।
সিসিটিভিতে শিশুটিকে নিয়ে যেতেও দেখা যায় তাকে। অপরাধীর খোঁজে সেই সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে দেওয়া হয় রাজ্যের সব থানায়। বুধবার বিকেলে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে খোঁজ মেলে রাজীব ওরফে গোবরার। ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে লালবাজারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জানা গিয়েছে, গোপীবল্লভপুরের এক হোটেলে সম্প্রতি কাজ নিয়েছে এক যুবক। যার পায়ে সমস্যা রয়েছে। বড়তলার ঘটনার দিন এবং গোপীবল্লভপুরে ওই যুবকের কাজে যোগ দেওয়ার দিনের মধ্যে যোগসূত্র খুঁজে পান তদন্তকারীরা। রাজীবকে আটক করে জেরা করতেই অপরাধের কথা কবুল করে সে।