পল্লব হাজরা, নিমতা: নববর্ষের প্রথম সপ্তাহে কনের সাজে সাজলেন ১২জন পাত্রী। দুই হাত এক করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন তারা। রবিবার সকাল থেকেই সানাইয়ের সুরে মাতোয়ারা নিমতা বয়েজ ক্লাবের মাঠ। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হয় গঙ্গা নিমন্ত্রণ।
গণবিবাহ হলেও আয়োজনে ছিল না কোন খামতি। উপহার হিসেবে নবদম্পতির হাতে তুলে দেওয়া হয় খাট, আলমারি,সেলাই মেশিন, সাইকেল, বাসন সহ আসবাবপত্র।
বিবাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অধ্যাপক সৌগত রায়, বিশিষ্ট গায়ক শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়, উত্তর দমদম বিধানসভা কেন্দ্রর বিধায়িকা মন্ত্রী চিন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র, উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
কর্মযোগী সোসাইটির সম্পাদক তপন চক্রবর্তী জানান ২০১০ সালে গণবিবাহর উৎসব তারা শুরু করেন। কন্যার বিয়ে দিতে না পেরে আত্মঘাতী হন বন্ধ হয়ে যাওয়া মোহিনী মিলের এক শ্রমিক যা রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি করে সদস্যদের মধ্যে। এই ঘটনার পর থেকেই কর্মযোগী সোসাইটি প্রতিবছর গণ বিবাহ উৎসবের আয়োজন করে থাকে।
আজ পর্যন্ত একশো ছিয়াত্তর জন পাত্রপাত্রী গণবিবাহের মধ্যে দিয়ে গাঁটছড়া বেঁধেছেন। সদস্য সহ স্থানীয়রা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন এই উৎসবে। বীরভূম, পুরুলিয়া, সন্দেশখালী, গোসাবা, হিঙ্গলগঞ্জ, বাঁকুড়া থেকে পাত্রপাত্রী এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন।
এই ধরনের মহতী অনুষ্ঠানে খুশির হওয়া পাত্রপাত্রী পরিবারের মধ্যে। উৎসবকে কেন্দ্র করে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিবাহ অনুষ্ঠানকে ঘিরে সাধারণ মানুষের উন্মাদনা ছিল যথেষ্ট।