India Book of Records: পজিটিভ বার্তার প্রেরণায় নতুন অধ্যায়, মলয় পিটের আইবিআর অ্যাচিভার পুরস্কার

সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য এক অদম্য উদ্যোগ, যা শুধুমাত্র কথা নয়, বরং কাজের মাধ্যমে সমাজের সকল স্তরে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে শুরু হয়েছিল, তা আজ এক নতুন মাইলফলকে পৌঁছেছে। এই উদ্যোগটি হল ‘পজিটিভ বার্তা’, যার প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোগপতি মালয় পিট, এবার ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস (India Book of Records) থেকে মর্যাদাপূর্ণ “আইবিআর অ্যাচিভার” পুরস্কারে ভূষিত হচ্ছেন। এটি শুধু একটি পুরস্কার নয়, বরং সমাজে ইতিবাচকতার বার্তা ছড়ানোর জন্য তাঁর অবিচল প্রচেষ্টার স্বীকৃতি।

 আগামী ১৮ মার্চ,মঙ্গলবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হতে চলা এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি শুধু  মলয় বাবু ও পজিটিভ বার্তার জন্য একটি বড় অর্জন নয়, বরং সেই সমস্ত লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্যও একটি উদাহরণ, যারা নিজেদের চিন্তা ও কাজের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চায়।

পজিটিভ বার্তা যখন প্রথম শুরু হয়েছিল, তখন তার লক্ষ্য ছিল একটি ইতিবাচক মানসিকতা সৃষ্টি করা—বিশেষত শিশুদের মধ্যে, যাদের ভবিষ্যত বিশ্বের কাছে সবথেকে বড় আশার প্রতীক। ডিজিটাল মাধ্যমে এই প্রচার শুরু হলেও, আজ তা ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন নেটওয়ার্কে এবং শীঘ্রই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিশ্বের আরও বড় অংশে পৌঁছানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

মলয় বাবু বলেন, “মানুষ সহজাতভাবে ভালো কাজ করার আকাঙ্ক্ষা রাখে, তবে সামাজিক প্রভাবের কারণে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা সমাজের প্রতিটি স্তরে প্রভাব ফেলে। পজিটিভ বার্তা সেই নেতিবাচকতার বিপরীতে দাঁড়িয়ে মানুষের মনে ইতিবাচক চিন্তা জাগাতে কাজ করছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমরা শিশুদের উৎসাহিত করেছি যাতে তারা নেতিবাচকতা থেকে দূরে থাকে এবং ভবিষ্যতে এক উন্নত পৃথিবীতে নিজেদের ভূমিকা রাখতে পারে।”

এই পুরস্কারটি কেবল বা পজিটিভ বার্তার জন্য একটি সাফল্য নয়, বরং একটি বড় বার্তা, যে সমাজে ইতিবাচক চিন্তা এবং কাজের প্রয়োজনীয়তা ক্রমবর্ধমান। এটি আমাদের শেখায় যে, সমাজের পরিবর্তন কেবল বড় সিদ্ধান্তে নয়, ছোট ছোট উদ্যোগে এবং প্রতিদিনের কাজের মধ্যে নিহিত থাকে।

সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার এই অদম্য উদ্যোগের জন্য শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সভাপতি উদ্যোগপতি মলয় পিট’কে কুর্নিশ জানায় খবর এইসময়।