আবু আলী, ঢাকা: ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করে মাত্র নয় মাসে স্বাধীনতা এনে দেয় বাংলাদশ নামক নতুন রাষ্ট্রের। এরপর দীর্ঘ সময় বন্ধু প্রতীম রাষ্ট্র হিসেবে পাশে রয়েছে। মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে পুরো বিশ্ব আজ স্থবির হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা ভাইরাসকে আরেক মুক্তিযুদ্ধের সাথে তুলনা করে সবাইকে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ করেছেন। বিশ্বের প্রতিটি দেশ যখন নিজ দেশ এবং দেশের জনগণকে বাঁচাতে মরিয়া ঠিক সেই সময় আবারও পাশ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশের জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। দেশটি বাংলাদেশকে এক লাখ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন, ৫০ হাজার জীবাণুমুক্ত সার্জিক্যাল ল্যাটেক্স গ্লাভস সমন্বিত জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী হস্তান্তর করেছে। ২৬ এপ্রিল রবিবার ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ এ চিকিৎসা সামগ্রী বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করেন। এটি বাংলাদেশের জন্য ভারতের সহায়তা সামগ্রীর দ্বিতীয় চালান। এর আগে প্রথম চালান গত ২৫ মার্চ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেখানে ছিল ৩০ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক এবং ১৫ হাজার হেড-কভার সমন্বিত জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী। এ বিষয়ে ভারতের হাইকমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথমে’ নীতির অংশ হিসেবে এবং এই অঞ্চলের প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী বাংলাদেশকে দেয়া হচ্ছে। এই সহায়তা এসেছে সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিলের আওতায় এবং কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় সাহায্য করার উদ্দেশ্যে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরবরাহ, প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভারত থেকে অব্যাহত সহায়তার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, সঙ্কটের সময়ে প্রতিবেশী বন্ধুর সহায়তাকে আমরা স্বাগত জানাই। হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের অব্যাহত সহায়তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। ভারতের দেয়া এ চিকিৎসা সামগ্রী কেন্দ্রীয় মেডিকেল স্টোর ডিপোতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বিমান বাংলাদেশের সহায়তায় সামগ্রীগুলো ভারত থেকে আনা হয়। হাইকমিশনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বন্ধু ও প্রতিবেশী হিসেবে প্রতিকূল সময়ে ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত। ভারত ও বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধভাবে কোভিড-১৯ সংক্রমণে সৃষ্ট পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারবে।