ভারতের কূটনীতি মালদ্বীপের দৃষ্টিভঙ্গিতে একটি বড় পরিবর্তন (India-Maldives Relations) এনেছে। ৯-১১ আগস্ট পর্যন্ত বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের দুই দিনের মালদ্বীপ সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে মহম্মদ মইজু মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর সেখানে ভারতবিরোধী পরিবেশ তৈরি হয়। কিন্তু আবার পরিস্থিতি পাল্টেছে। মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মুইজ্জু ভারতকে ‘অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এটিকে চিনের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মুইজুকে চিনপন্থী হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
বিদেশ বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে মালদ্বীপের মনোভাবের এই পরিবর্তনটি (India-Maldives Relations) আকস্মিকভাবে আসেনি। বরং, এটিকে ভারতীয় কূটনীতির প্রজ্ঞার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে, যখন মুইজ্জুর দল মালদ্বীপে ক্ষমতায় আসে। সেই সময় থেকে তিনি তাঁর নির্বাচনী এজেন্ডা দ্রুত বাস্তবায়িত করছিলেন। রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য মালদ্বীপে পাঠানো ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে অটল ছিলেন। কিন্তু ভারত সরকার নিজের কূটনৈতিক (India-Maldives Relations) দক্ষতা দেখিয়েছিল এবং মালদ্বীপের সাথে তার সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছিল।
ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে বিভিন্ন স্তরে কূটনৈতিক আলোচনাও হয়েছে। তবে, মালদ্বীপের অবস্থানের তাৎক্ষণিক কোনও পরিবর্তন হয়নি। এর কারণ হল মহম্মদ মুইজ্জুকে চিনের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হত। এদিকে বিদেশ সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মালদ্বীপে এই পরিবর্তন স্থায়ী না অস্থায়ী, তা দেখতে হবে।
ভারত মালদ্বীপে বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারত যদি সেই প্রকল্পগুলি প্রত্যাহার করে নেয়, তাহলে মালদ্বীপ এবং রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জুর জন্য সমস্যা বাড়তে পারে। তাই, ভারতের প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়ানো ছাড়া মুইজ্জুর আর কোনও উপায় নেই। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তাঁর সফরকালে মালদ্বীপের ২৮টি দ্বীপে ক্রেডিট লাইন, জল ও পয়ঃনিষ্কাশন লাইনের জন্য ইউপিআই সহ বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনা করেছেন। দুই দেশের (India-Maldives Relations) মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্যে ভারতে মালদ্বীপের ১০০০ উচ্চ আধিকারিকদের ভারতে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।