পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সম্প্রতি বলেছেন যে “কাশ্মীর ইসলামাবাদের ঘাড়ের শিরা”। ভারত এর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্র মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল পাকিস্তানের (India-Pakistan Relations) দাবি সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে বলেন যে, “কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এর সাথে পাকিস্তানের কোনও সম্পর্ক নেই।”
বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, “কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের একমাত্র উদ্বেগ হল অবৈধভাবে দখলকৃত অঞ্চল খালি করা।” তিনি আরও জিজ্ঞাসা করলেন, “কীভাবে একটি বিদেশী বস্তু ঘাড়ের শিরায় থাকতে পারে?” প্রকৃতপক্ষে, এই বিবৃতি পাকিস্তানের (India-Pakistan Relations) দীর্ঘদিনের অবস্থানের উপর সরাসরি আক্রমণ, যেখানে তারা কাশ্মীরকে তাদের অংশ বলে আসছে।
কাশ্মীর সম্পর্কে ভারতের অবস্থান
ভারতের কাশ্মীর নীতি সবসময় স্পষ্ট। এটি ভারতের একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং এতে বাইরের হস্তক্ষেপের কোনও সুযোগ নেই। ভারতের এই বিবৃতি কেবল কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং এটি আন্তর্জাতিকভাবে একটি বার্তাও দেয় যে ভারত কাশ্মীর নিয়ে কোনও ধরণের বাগাড়ম্বর বা হস্তক্ষেপ সহ্য করবে না।
আসলে, জেনারেল আসিম মুনিরের বক্তব্য একটি ভিডিও বার্তার পরে এসেছে, যেখানে তিনি পাকিস্তানি তরুণদের দেশের ‘গল্প’ মনে করিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। তিনি বলেন, “আমাদের পূর্বপুরুষরা ভেবেছিলেন যে আমরা হিন্দুদের থেকে আলাদা, আমাদের চিন্তাভাবনা, ধর্ম এবং ঐতিহ্য আলাদা। এটিই দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তি।” তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের প্রতিটি প্রজন্ম দেশ রক্ষার জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মেরও পাকিস্তানের বাস্তবতা বোঝা উচিত। তার বক্তৃতার মূল লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানে জাতীয়তাবাদী আবেগ জাগানো, কিন্তু তার কাশ্মীরের বক্তব্য ভারতে ক্ষোভের জন্ম দেয়।
বেলুচিস্তান এবং সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে পাক সেনাপ্রধানের বক্তব্য
জেনারেল মুনির বেলুচিস্তানের পরিস্থিতি সম্পর্কেও কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে “দশ প্রজন্মের সন্ত্রাসীরাও বেলুচিস্তান এবং পাকিস্তানের ক্ষতি করতে পারবে না।” তিনি দাবি করেছিলেন যে পাকিস্তান সেনাবাহিনী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে লড়াই করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং দেশের ঐক্যের জন্য কোনও হুমকি নেই।