India-Turkey Relations: তুরস্ক সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন সেই দেশের ব্যবসায়ীরা, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলে ক্ষতি হবে তাদের

২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। এই সময়ে, তুরস্ক প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন করে, যা ভারতের ক্ষোভকে আরও তীব্র করে তোলে। তুরস্কের (India-Turkey Relations) এই পদক্ষেপে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ। প্রথমত, রাজস্থানের জয়পুর এবং কিষাণগড়ের মার্বেল ব্যবসায়ীরা একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং তুরস্ক থেকে আমদানি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা করেছেন। প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার তুরস্ক মার্বেল এই এলাকাগুলিতে আসত, কিন্তু এখন ব্যবসায়ীরা তুর্কি পণ্য বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তুরস্কের ব্যবসায়ীরা নিজেরাই সমস্যায় পড়েন

জয়পুর এবং কিষাণগড়ের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব (India-Turkey Relations) এখন তুরস্কে পৌঁছেছে। তুরস্কের অনেক বড় ব্যবসায়ী ভারতের ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন। তারা ইমেল, ফোন কল এবং হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ক্রমাগত অনুরোধ করছে যে ভারতের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক শেষ করা উচিত নয়। কিন্তু ভারতীয় ব্যবসায়ীরা স্পষ্টভাবে বলছেন যে পাকিস্তানের মতো ভারতবিরোধী দেশকে সমর্থনকারী কোনও দেশের সঙ্গে কোনও ধরণের বাণিজ্য করা হবে না। মার্বেল এবং গ্রানাইট শিল্পের সাথে সম্পর্কিত সংস্থাগুলি তুরস্ককে সতর্ক করে দিয়েছে যে ভারতের সাথে এই ধরনের আচরণের পরিণতি তাদের ভোগ করতে হবে।

“জাতীয় স্বার্থ আগে, ব্যবসা পরে”

জয়পুরের বিশ্বকর্মা শিল্প এলাকা এবং অন্যান্য মার্বেল সমিতির সভাপতি জগদীশ সোমানি বলেন, “পাকিস্তানকে সমর্থন করে তুরস্ক তার আসল চেহারা দেখিয়েছে। এখন আমাদের শিল্প এলাকার কোনও ব্যবসায়ী তুরস্ক থেকে মার্বেল অর্ডার করবে না। জাতীয় স্বার্থ আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।” ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, যদি তুরস্ক তার নীতি পরিবর্তন না করে, তাহলে এই বয়কট কেবল রাজস্থানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং দেশের অন্যান্য রাজ্যেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে।

বিক্ষোভ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে

এই প্রথমবারের মতো কোনও দেশের সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীরা নিজেরাই আওয়াজ তুলছেন। তুরস্কের ব্যবসায়ীরা তাদের নিজ দেশের সরকারের কাছে ভারতের সাথে শত্রুতা না বাড়ানোর জন্য আবেদন করছেন, অন্যথায় বিশাল ক্ষতি হবে। ভারত এবং তুরস্কের মধ্যে (India-Turkey Relations) বার্ষিক বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়, যার মধ্যে মার্বেল, গ্রানাইট এবং অন্যান্য জিনিসপত্র রয়েছে। কিন্তু এখন ভারতের পরিবেশ সম্পূর্ণ বদলে গেছে। মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা বলেন যে দেশের নিরাপত্তা সবার আগে। যে কেউ ভারতের শত্রুদের পাশে দাঁড়াবে, তাকে অর্থনৈতিক মূল্য দিতে হবে।