ভারতীয় রেলওয়ে (Indian Railway) ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারতের লক্ষ্য অর্জনের জন্য তার প্রচেষ্টা জোরদার করছে। জাতীয় পরিবহন সংস্থাটি অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছে। এর মধ্যে রয়েছে রেলওয়ে স্টেশনগুলির পুনর্উন্নয়ন এবং অবকাঠামো শক্তিশালী করার জন্য নতুন ট্রেন চালু করা, নতুন লাইন নির্মাণের মাধ্যমে রেল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং দ্বিগুণকরণ প্রকল্প।
এর পাশাপাশি, রেলপথ মন্ত্রক (Indian Railway) ভারতকে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় রেল রপ্তানিকারক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মিশন মোডে কাজ করছে। ইতিমধ্যে, ভারত বিশ্বের বৃহত্তম লোকোমোটিভ প্রস্তুতকারক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ৩০ মে সিআইআই-এর এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ঘোষণা করেন যে, দেশটি গত বছর ১,৬০০টি লোকোমোটিভ উৎপাদন করেছে – যা বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ উৎপাদনের পরিসংখ্যান।
বিশ্বের বৃহত্তম লোকোমোটিভ প্রস্তুতকারক
এই প্রসঙ্গে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “গত বছর ১৬০০টি লোকোমোটিভ উৎপাদন করে আমরা বিশ্বের বৃহত্তম লোকোমোটিভ প্রস্তুতকারক হয়েছি, যা আমেরিকা, ইউরোপ এবং জাপানের সম্মিলিত উৎপাদনের চেয়েও বেশি। আমরা বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক লোকোমোটিভ উৎপাদনের জন্য নতুন প্রযুক্তিও আনছি।”
রেল কার্গো, ফ্রেইট
রেলওয়ে কার্গো বহন ক্ষমতার দিক থেকে ভারত (Indian Railway) এখন বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। মাল পরিবহনের দক্ষতা আরও বৃদ্ধির জন্য, দেশটি সক্রিয়ভাবে তার ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডোর (DFCs) তৈরি করছে, যার লক্ষ্য যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনাকে প্রভাবিত না করে মালবাহী ট্রেনের মসৃণ, নিরবচ্ছিন্ন চলাচল নিশ্চিত করা।
রেলমন্ত্রী বলেন, “গত ১০ বছরে আমরা গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করেছি এবং এখন ১,৬১২ মেট্রিক টন মালবাহী পরিবহন ক্ষমতা নিয়ে রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মালবাহী রেলপথ।” তিনি আরও বলেন যে এটি রাস্তার চাপ এবং CO2 নির্গমন 95 শতাংশ হ্রাস করে এবং তেল আমদানি সাশ্রয় করে।
এলএইচবি কোচ তৈরি
জাতীয় পরিবহন সংস্থা আগামী তিন বছরের মধ্যে সমস্ত পুরানো কোচ প্রতিস্থাপন করে নতুন কোচ তৈরির লক্ষ্যও নির্ধারণ করেছে। বৈষ্ণব বলেন, “গত ১০ বছরে আমরা ৪১,০০০ এলএইচবি কোচ তৈরি করেছি এবং আগামী তিন বছরে, আমরা সমগ্র রেল নেটওয়ার্ক জুড়ে সমস্ত পুরানো কোচ নতুন কোচ দিয়ে প্রতিস্থাপন করব।”
