আপনি যদি প্রায়ই ট্রেনে (Indian Railways) ভ্রমণ করেন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই ওয়েটিং টিকিটের সম্পূর্ণ নিয়ম জানতে হবে। আপনি এটাও জানতে পারবেন যে, ওয়েটিং টিকিট বাতিল করার জন্য রেল একটি নির্দিষ্ট চার্জ নেয়। কিন্তু আপনাদের মতো অনেকেরই একই প্রশ্ন থাকে যে, যখন টিকিট ওয়েটিংয়ে আছে, তখন তা বাতিল করার জন্য কত টাকা লাগবে। এমনকি টিকিট কনফার্ম না হলেও আপনি পুরো টাকা ফেরত পাবেন না। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানালেন, কেন রেলের তরফে এই চার্জ কেন নেওয়া হয়ে থাকে?
সরকারের তরফে লোকসভায় জানানো হয়েছে যে, রেল মন্ত্রক (Indian Railways) সমস্ত ওয়েটিং লিস্টেড টিকিটের উপর ‘ক্লার্কেজ’ ফি ধার্য করে। টিকিট বাতিল সহ সমস্ত উৎস থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচালনা-সম্পর্কিত কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে বলেন, “রেল যাত্রী (টিকিট বাতিল এবং ভাড়া ফেরত) বিধি, ২০১৫ অনুযায়ী, আইআরসিটিসি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বাতিল হওয়া সমস্ত ওয়েটিং টিকিট বাতিলের ক্ষেত্রে ক্লার্কেজ চার্জ ধার্য করা হয়।”

সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ইকরা চৌধুরী ট্রেনে আসনের অভাবে বাতিল হওয়া ওয়েটিং লিস্টেড টিকিটের (Indian Railways) ক্যানসেলশন ফি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ইকরা চৌধুরী প্রশ্ন করেন, “সরকার কি রেলের বাতিল হওয়া ওয়েটিং লিস্টেড টিকিট বাতিলের ফি মওকুফ করার পরিকল্পনা করছে?” উত্তরে রেলমন্ত্রী বৈষ্ণব বলেন যে, অগ্রিম সংরক্ষণের সময়কালে ‘কনফার্ম/আরএসি’ টিকিট বাতিল হওয়ার ক্ষেত্রে শূন্য আসন পূরণের জন্য ওয়েটিং লিস্টেড টিকিট জারি করা হয়।
এছাড়াও, ওয়েটিং লিস্টেড টিকিটের (Indian Railways) যাত্রীদের কাছে আপডেট স্কিমের আওতায় ‘আপগ্রেড “হওয়ার বা বিকল্প প্রকল্পের আওতায় বিকল্প ট্রেনে স্থানান্তরিত হওয়ার বিকল্প রয়েছে। বাতিল ফি থেকে সংগৃহীত রাজস্বের তথ্য সরকারের কাছে আছে কিনা জানতে চাইলে বৈষ্ণব বলেন, “টিকিট বাতিলের কারণে সংগৃহীত অর্থ আলাদা করে রাখা হয় না।”
রেল মন্ত্রক (Indian Railways) একটি নতুন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করছে যা ব্যবহারকারীদের অসংরক্ষিত ট্রেনের টিকিট বুক করতে, অভিযোগ জানাতে এবং ট্রেন ট্র্যাক করার অনুমতি দেবে। তেলেগু দেশম পার্টির সাংসদ বি কে পার্থসারথি এবং বি নাগরাজু রেল পরিষেবার জন্য একটি ‘সুপার অ্যাপ’ চালু করার সরকারের পরিকল্পনার বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। তিনি আরও জানতে চান, “কখন বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অ্যাপটি চালু করা হবে এবং অ্যাপটি তৈরি করতে কত খরচ হবে।” রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “ভারতীয় রেল যাত্রী পরিষেবা কেন্দ্রিক অ্যাপ তৈরি করছে। যাত্রীরা একটি অ্যাপের মাধ্যমে অসংরক্ষিত টিকিটের সুবিধা নিতে পারবেন, অভিযোগ জানাতে পারবেন, ট্রেনের প্রাপ্যতা পরীক্ষা করতে পারবেন এবং আরও অনেক কিছু করতে পারবেন।”