খবর এইসময়, নিউজ ডেস্কঃ অতিমারী করোনাভাইরাস গত বছরের মার্চ মাস থেকে এদেশে থাবা বসানোর পর থেকেই একের পর এক বিপত্তি লেগে রয়েছে গোটা দেশ জুড়ে। কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে প্রায় সব রাজ্যেই লকডাউনের জেরে দেশের অর্থনীতি একেবারে বেসামাল হয়ে পরায় দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ চাকরি-হারা হয়েছিলেন।
মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়িতে ফিরতে হয়েছিল।করোনা পরিস্থিতি একটু সামলে উঠতে না উঠতে হাজির দ্বিতীয় ঢেউ। সেই ঢেউয়ে স্রেফ ২ মাসে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২ কোটিরও বেশি মানুষ। এমনই তথ্য উঠে এসেছে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমির (CMIE) সমীক্ষায়।
সংস্থার সিইও মহেশ ব্যাস জানিয়েছেন, এ দেশে মোট চাকুরিজীবী ৪০ কোটি। তার মধ্যে ২ কোটি ২৭ লক্ষ মানুষ স্রেফ এপ্রিল-মে মাসেই চাকরি হারিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় অর্থনীতির চাকা তরতরিয়ে না গড়ালে এই চাকরিহারাদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনাও কম। কারণ ২০২০-২১ অর্থবর্ষে দেশের জিডিপি ৭.৩ শতাংশ সঙ্কোচিত হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বাজারে চাহিদা প্রয়োজন। কিন্তু চাকরিহারা মানুষের কাছে টাকা নেই। এখানেই সমস্যা।সিএমআইই-র সমীক্ষা বলছে, গত বছর মহামারির শুরু থেকে দেশে চাকরি আর্থিক উপার্জন কমেছে ৯৭ শতাংশ পরিবারের। আয় বেড়েছে শুধুমাত্র ৩ শতাংশ পরিবারের। দেশে করোনা হানা দেওয়ার পর গত বছর জাতীয় স্তরে লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর দেশে বেকারত্ব রেকর্ড মাত্রা ছুঁয়েছিল। ২৩.৫ শতাংশে উঠেছিল দেশে বেকারত্বের হার।মহেশ ব্যাস জানিয়েছেন, দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর পরিস্থিতি অনেকটা জটিল। কারণ, সার্বিক আয় কমেছে। মুষ্টিমেয় ধনীরা টাকা ঢালছেন শেয়ার বাজারে, সুযোগ তৈরিতে নয়। কলকারখানাগুলিও ৬৬% ক্ষমতাতেই চলতে বাধ্য থাকায় কর্মস্থানে গতি আসছে না। কেন্দ্র সরকারের তরফেও কোনও উদ্যোগ না থাকায় কর্পোরেট হাউসগুলিও হাত গুটিয়ে বসে র্যেছে।সে ক্ষেত্রে অবিলম্বে কেন্দ্র সরকার উদ্যোগী না হলে, আগামী দিনে আরও বড় বিপদের সম্মুখীন হতে চলছে দেশবাসী। একাধিক সংস্থা পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২২ সালের দ্বিতীয় অর্ধে ঘুরে দাঁড়াতে পারে দেশের অর্থনীতি। এখন সেই অপেক্ষায় প্রহর গুনছে গোটা দেশবাসী।