মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারত অর্থনৈতিক উন্নয়নের (India’s total debt) অনেক উচ্চতা অর্জন করেছে। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে, ভারতের মোট ঋণের পরিমাণ কত এবং তা কি উদ্বেগের বিষয়। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, ভারতের মোট ঋণ ৩.০৫৭ ট্রিলিয়ন ডলার। এটি বিশ্বের মোট ঋণের ৩.২ শতাংশ। তবে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে। কিন্তু আমেরিকা ও চিনের মতো উন্নত দেশের ঋণের সঙ্গে তুলনা করলে ভারতের অবস্থা আরও ভালো বলে মনে করা যেতে পারে।
গোটা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল করোনা সংকট। অনেক দেশের জিডিপি হ্রাস পেয়েছিল এবং তাদের অর্থনীতি পরিচালনার জন্য তাদের ব্যাপক ঋণ (India’s total debt) নিতে হয়েছিল। আইএমএফ এবং জাতিসংঘের ট্রেজারি থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের মোট ঋণ ১০২ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম ঋণগ্রহীতা দেশ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোট ঋণ ৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার, বা বিশ্বের ঋণের ৩৪.৬ শতাংশ। ঋণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপির চেয়ে ১২৫ গুণ বেশি। অর্থনীতির পতন সত্ত্বেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার ঋণের উপর সুদ প্রদান অব্যাহত রেখেছে। চিন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঋণগ্রহীতা দেশ। চিনের মোট ঋণ ১৪.৬৩ ট্রিলিয়ন ডলার, যা বিশ্বের মোট ঋণের ১৬.১ শতাংশ। চিনের অর্থনীতিও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। জাপানের স্থান তিন নম্বরে। জাপানের মোট ঋণ ১০.৭ ট্রিলিয়ন ডলার, যা বিশ্বের মোট ঋণের ১০ শতাংশ।
ভারতের অবস্থা (India’s total debt) অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো। এই তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছে ভারত। ভারতের মোট ঋণ ৩.০৫৭ ট্রিলিয়ন ডলার, যা বিশ্বের মোট ঋণের মাত্র ৩.২ শতাংশ। ভারতের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেটা হোক মেক ইন ইন্ডিয়া, ডিজিটাল ইন্ডিয়া বা পরিকাঠামো প্রকল্প। ভারত তার ঋণ (India’s total debt) সামলানোর ক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছে। বিশ্বে এমন অনেক দেশ রয়েছে যাদের ঋণ নেই। এর মধ্যে রয়েছে ইরাক, চিলি, ভিয়েতনাম এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মতো দেশ। ইরাক হল সবচেয়ে কম ঋণের দেশ। বাংলাদেশের মোট ঋণের ০.২ শতাংশ। পাকিস্তানের মোট ঋণের ০.৩ শতাংশ। কিন্তু পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মতো দেশের অর্থনীতির কথা বিবেচনা করলে এই ঋণ তাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়।