পল্লব হাজরা,বরানগর : ঢাকের বাদ্যি ক্ল্যারিওনেটেরে সুরে খুঁটিপূজোর মধ্যে দিয়ে দেবী আবাহন শুরু করল বরাহনগর মল্লিক কলোনী সার্বজনীন দুর্গোৎসব।
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা উৎসব। আগে মহালয়া এসে যাওয়া মানেই বাঙালি প্রহর গোনা শুরু করত পুজোর দিন গুলি নিয়ে। তবে বর্তমান সময় খুঁটিপুজো এক গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হয়ে উঠেছে পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে। ঢাকে কাঠি সানাইয়ের সুরের মধ্যে দিয়ে পুজো মণ্ডপের প্রস্তুতি পর্ব শুরু করে দেয় অন্যতম পুজো মণ্ডপ গুলিতে।
রবিবার সকালে খুঁটি পুজোর মধ্যে দিয়ে দেবী আবাহন শুরু করে দিল মল্লিক কলোনী সার্বজনীন দুর্গোৎসব। উত্তর শহরতলী মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয় এই পুজো।
খুঁটিপুজোর বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ অধ্যাপক সৌগত রায়, বিধায়ক তাপস রায়, বরাহনগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক , প্রাক্তন ফুটবল খেলোয়াড় দেবজিৎ ঘোষ, রঞ্জন ভট্টাচার্য্য সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জন।
সকালে সদস্যরা বিশেষ রীতি মেনে খুঁটি নিয়ে মল্লিক কলোনী অঞ্চলটি প্রদক্ষিণ করেন। খুঁটিপুজো কে ঘিরে স্থানীয় মানুষের ছিল বাড়তি উন্মাদনা ।পূজো শুরু হতেই ঢাকের বাদ্যি ও ক্লারিওনেটের সুরে নৃত্যের তালে পা মেলান স্থানীয় বাসিন্দারা।
মল্লিক কলোনী সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা রামকৃষ্ণ পাল জানান ৭৩তম বর্ষে পদার্পণ করল এই পুজো। প্রতিবছর মতো এই বছরও দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে বিশেষ থিমের চমক। তবে এই বছরে থিম কি তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে পুজোর দিন গুলি পর্যন্ত। করোনা বিধিনিষেধ এর উপরে থাকবে বাড়তি নজর। মণ্ডপ প্রবেশে দর্শনার্থীদের মাস্ক বাধ্যতামূলক। প্রতিবছরের ন্যায় পুরস্কার প্রাপ্তিতে এবারও প্রথম সারিতেই থাকবেন এমনটাই আশাবাদী রামকৃষ্ণ পাল।