নিউদিল্লিঃ ‘যেতেই পারি, যাওয়া তো ভুল নয়!’ শুক্রবার রাজ্যসভার সাংসদ পদ ও দল ছাড়ার পর বিজেপি-যোগ নিয়ে, এটাই তৃণমূলত্যাগী দীনেশ ত্রিবেদীর প্রতিক্রিয়া। তবে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে তাঁর কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়া নেই।
সে দিন রাজ্যসভায় আচমকাই ‘দমবন্ধ’ হওয়ার কথা বলে দল ও সাংসদ পদ ত্যাপের কথা জানান প্রাক্তন রেলমন্ত্রী। এরপর স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘দীনেশ ত্রিবেদীকে কোনও আমন্ত্রণের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। ওঁরা সকলেই বন্ধু এবং সেটা আজ থেকে নয়। প্রধানমন্ত্রী আমার ভীষণ বন্ধু। অমিতভাই (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ) বহু, বহু বছর ধরে খুব ভালো বন্ধু। আমি যেতেই পারতাম, গেলেই হতো। এতে তো কোনও ভুলও নেই। কাল যদি বিজেপিতে যোগ দিই, তাতে তো কোনও অন্যায় নেই।’
সাক্ষাৎকারে আগাগোড়া বিজেপির স্তুতি শোনা গিয়েছে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদের মুখে। তিনি বলেন, ‘শুনছি, বিজেপি আমাকে স্বাগত জানাচ্ছেন, সে জন্য ওঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। সর্বত্রই যদি মানুষ তাঁদের গ্রহণ করেন, তা হলে বুঝতে হবে দেশের জন্য তাঁরা ভালো কিছু করছেন।’
‘অন্তরাত্মা’র ডাক শুনে দল ছাড়ার পরেও ‘আত্মা’র কথা শোনা গিয়েছে দীনেশের মুখে। তাঁর কথায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অজিত পাঁজা এবং আমি মিলে তৃণমূল পার্টিটা তৈরি করেছিলাম। দিল্লির টিকিট পেতে ৫০০০-১০০০০ হাজারের জন্য স্ট্রাগল করেছি। আর আজ আত্মাটাই চলে গিয়েছে। একদন উপদেষ্টাকে যদি ১০০ কোটি দেওয়া হয় …একদিকে বলা হচ্ছে, গরিব পার্টি, অন্যদিকে একজন উপদেষ্টাকে কোটি কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে! বাম সরকারকে হারানোর জন্য তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনও উপদেষ্টার প্রয়োজন হয়নি। গান্ধীরও কোনও উপদেষ্টা ছিলেন না। উপদেষ্টাদের গুরুত্ব খাটো করছি না। কিন্তু তারা তো পার্টিটার মালিক হতে পারে না। তারা পার্টির চেয়েও বড় হয়ে উঠেছে।’
তাঁর দাবি, এই সংস্কৃতি যে তিনি পছন্দ করছেন না, সেটা মমতা জানতেন। কিন্তু আলোচনার কোনও সুযোগ ছিল না। কোনও বিষয়েই পাঁচজন বসে কথাবার্তার জায়গা না-থাকায় দলের লোকজন ওয়েলে নেমে চিৎকার করছেন বলে দীনেশের কটাক্ষ।