মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর (Israel-Lebanon ceasefire) মধ্যে সংঘাত সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যেতে চলেছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ক্যাবিনেট ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহর সাথে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করেছে, যা লেবাননে কয়েক মাসের হিংসা বন্ধের পথ প্রশস্ত করেছে।
মার্কিন ও ফরাসি মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতিতে (Israel-Lebanon ceasefire) সম্মত হয়েছে, যা দুই নেতা শীঘ্রই ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর ইসরায়েলি সেনারা দক্ষিণ লেবানন থেকে সরে আসবে। লেবাননের সেনাবাহিনী এই অঞ্চলে ৫,০০০ সেনা মোতায়েন করবে, অন্যদিকে হিজবুল্লাহ লিটানি নদীর দক্ষিণে তাদের সশস্ত্র উপস্থিতি শেষ করবে।
ইসরায়েলি-লেবাননের যুদ্ধে (Israel-Lebanon ceasefire) এ পর্যন্ত লেবাননে প্রায় ৩,৮০০ জন নিহত এবং ১৬,০০০ এরও বেশি আহত হয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় লেবাননের পরিকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই চুক্তিকে (Israel-Lebanon ceasefire) মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
যুদ্ধবিরতি (Israel-Lebanon ceasefire) ঘোষণার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। তিনি বলেন, “চুক্তিটি বলবৎ থাকবে, তবে যে কোনও লঙ্ঘনের কড়া জবাব দেওয়া হবে। নেতানিয়াহু জোর দিয়েছিলেন যে ইসরায়েল গাজা থেকে হুমকি নির্মূল এবং বন্দীদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন সহ তার সমস্ত লক্ষ্য অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
নেতানিয়াহু নিরাপত্তা বাহিনীর সাহসিকতার প্রশংসা করে এটিকে যুদ্ধের একটি বড় সাফল্য বলে অভিহিত করেন। তবে, যুদ্ধবিরতির আগেই ইসরায়েল জোরালোভাবে লেবাননে আক্রমণ চালিয়ে যায়। বৈরুতের একটি ভবনে বিমান হামলা চালিয়ে ২৯ জনকে হত্যা করে।