ইয়েমেনের হুথি ঘাঁটিতে ইসরায়েলি হামলায় (Israeli Strikes on Yemen) ৬ জন নিহত এবং ৮৬ জন আহত হয়েছে। ইয়েমেনের রাজধানী সানায় এই হামলা চালানো হয়, যেখানে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে সামরিক ঘাঁটি, বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং গ্যাস স্টেশন লক্ষ্যবস্তু করা হয়। ইসরায়েল এই হামলাকে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ বলে দাবি করেছে।
হামলার কারণ এবং প্রেক্ষাপট
এই হামলার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা বারবার ইসরায়েলের দিকে ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা হুথিদের এই হামলার জবাব দিতেই সানায় সামরিক অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে হুথিরা ইসরায়েলের দিকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল, যা ইসরায়েল সফলভাবে ধ্বংস করে দেয়। এরপরই এই প্রতিশোধমূলক হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বক্তব্য
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) বলেছে যে হুথিরা ইসরায়েল এবং এর নাগরিকদের ওপর বারবার হামলা চালাচ্ছে। তারা আরও জানায় যে হুথিরা বেসামরিক অবকাঠামো যেমন বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং জ্বালানি সংরক্ষণের স্থান ব্যবহার করে তাদের সামরিক কার্যকলাপ পরিচালনা করে। আইডিএফ-এর মতে, সানায় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে একটি সামরিক স্থান এবং হেজাজ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও জ্বালানি সংরক্ষণের স্থানগুলোতে এই হামলা চালানো হয়েছে।
লোহিত সাগরে হুথিদের আক্রমণ
গত দুই বছর ধরে হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে নিয়মিত আক্রমণ চালিয়ে আসছে। এই জলপথটি বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বছর এই পথ দিয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের পণ্য পরিবহন করা হয়। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে হুথিরা ১০০টিরও বেশি
জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। এই আক্রমণগুলো আন্তর্জাতিক সমুদ্র বাণিজ্যে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করেছে।