যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) আরও এক অধ্যাপকের রহস্যমৃত্যুতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। উত্তরাখণ্ডের একটি হোটেলের দরজা ভেঙে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) এক অধ্যাপকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ দেহ (Jadavpur University) উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। খুন নাকি আত্মহত্যা? ঘটনার তদন্তে নেমেছে উত্তরাখণ্ডের পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃত অধ্যাপকের নাম মৈনাক পাল। তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। জানা গিয়েছে, তিনি বন্ধুদের সঙ্গে উত্তরাখণ্ডে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন। আলমোড়ার একটা হোটেলের রুমের দরজা ভেঙে পুলিশ অধ্যাপকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ এটিকে আত্মহত্যা বলে মনে করছে। কিন্তু পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখছে। এদিনই তাঁদের ফেরার কথা ছিল। মৈনাক বাবুর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন না। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। । তবে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত না হলে কোনও কিছুই বলা সম্ভব নয়।
জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “আমরা শুনেছি উনি বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন। পরশু ফেরার কথা ছিল। একটি হোটেল থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৈনাক খুব ঠাণ্ডা মাথার ভদ্র ছেলে। ও এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাক্তন ছাত্র। এত ভাল ছেলেটার কী হয়ে গেল জানি না…।” মেধাবী এই অধ্যাপক প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। সেখানেই অধ্যাপনা শুরু করেন। তার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা সম্পূর্ণ করেন। ২০২২ সাল থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছিলেন তিনি। অত্যন্ত হাসিখুশি স্বভাবের অধ্যাপকের রহস্যমৃত্যুতে অবাক সহকারীরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত বলেন, “মৈনাকের চলে যাওয়াতে আমরা মর্মাহত, শোকাহত। শুধু অধ্যাপক নয় একজন উজ্জ্বল গবেষক, শিক্ষককে আমরা হারালাম। বুঝতে পারছি না কীভাবে এই ঘটনা ঘটল।” যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, “রবিবার সকাল পর্যন্ত অফিসিয়ালি কিছু জানতে পারিনি। তবে শুনেছি অধ্যাপক মৈনাক পালের মৃত্যু হয়েছে।”