জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) নতুন সরকার গঠনের পর এখন মন্ত্রীদের দপ্তরও ভাগ করা হয়েছে। ২৪টি বিভাগকে পাঁচটি মন্ত্রকে ভাগ করা হয়েছে। বাকি পোর্টফোলিওগুলি মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার কাছে রয়েছে। নির্দল বিধায়ক সতীশ শর্মাকে সর্বোচ্চ সাতটি বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রথম বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা জম্মু ও কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করে।
সূত্রের খবর, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের একদিন পর শ্রীনগরে সিভিল সেক্রেটারিয়েটে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীরকে (Jammu & Kashmir) পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার জন্য একটি প্রস্তাব পাস করা হয়। রাজ্য সরকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে এই প্রস্তাব পাঠিয়েছে। বৈঠকে ন্যাশনাল কনফারেন্সের আবদুল রহিম রাথার বিধানসভার প্রোটেম স্পিকার নির্বাচিত হন।
সূত্রের খবর, প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করা হয়েছে এবং মুখ্যমন্ত্রী কয়েক দিনের মধ্যে নয়াদিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে প্রস্তাবের খসড়া জমা দেবেন এবং জম্মু ও কাশ্মীরকে (Jammu & Kashmir) রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানাবেন। বৈঠক চলাকালীন ন্যাশানাল কনফারেন্সের আব্দুল রহিম রাথরকে বিধানসভার প্রোটেম স্পিকার করা হয়েছে।
২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর জম্মু ও কাশ্মীরের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হলেন ওমর আবদুল্লাহ। এটি জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আবদুল্লাহর দ্বিতীয় মেয়াদ। তিনি ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
৩৭০ ধারা বাতিলের পর অনুষ্ঠিত প্রথম বিধানসভা নির্বাচনে ন্যাশনাল কনফারেন্স ঐতিহাসিক বিজয় লাভ করে। ন্যাশনাল কনফারেন্স কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। ওমর আবদুল্লার দল ৪২টি আসনে জয়লাভ করে এবং কংগ্রেস ৬টি আসনে জয়লাভ করে। ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে (Jammu & Kashmir) ভারতীয় জনতা পার্টি ২৫টি আসন পেয়েছিল। এবারের নির্বাচনে গেরুয়া শিবির ২৯টি আসনে জয়লাভ করেছে।