সকালের পর রাতে আবার নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল জয়নগরের (Jaynagar) কুলতলি এলাকা। বিচার চেয়ে ফের পথে নামেন কুলতলির (Jaynagar) সাধারণ বাসিন্দারা। স্লোগান দিতে দিতে (Jaynagar) তাঁরা মিছিল করেন। কুলতলির বাসিন্দারা(Jaynagar) মূলত পুলিশের ওপর ক্ষোভ উগড়ে দেন।
শনিবার সন্ধেবেলা বিচার চেয়ে পথে নামেল কুলতলির (Jaynagar) সাধারণ বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিলে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটত না। এরপর সন্ধে হতেই গ্রাম ভেঙে লোক ঢুকতে শুরু করে মহিষমারি হাটে। জমায়েত শুরু হয়। বিচার চেয়ে তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন। পুরুষ থেকে মহিলা দলে দলে লোক জমায়েতে যোগ দেন। অন্যদিকে, গ্রামবাসীকে শান্ত করতে ফের একবার আসরে নামেন পুলিশ। এক পুলিশ আধিকারিককে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। লিশ সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালী জানান, “পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা, গাফিলতি নিয়ে অপ্রচার হচ্ছে। আমাদের কাছে সমস্ত তথ্য রয়েছে। পরিবারের সঙ্গে আমাদের সব সময় যোগাযোগ ছিল। পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে খুনের ধারা দেওয়া হয়েছে। আমরা দ্রুত তদন্ত শেষ করব। আইনানুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।”
অন্যদিকে, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতার পিসি। তিনি বলেন, নিরপিশাচগুলো আমাদের ছোট্ট মেয়েটাকে ছিঁড়ে খেল। এখানে কোনও বিচার নেই। বরং দলালরাজ রয়েছে। তিনি বলেন, ২০২০ সালে তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়। অভিযুক্তরা এখনও বাইরে। তারা ক্রমাগত মেয়েকে শাসানি দিয়ে যেত। হুমকি দিত। সেই মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করে। তিনি বলেন, এখানে কোনও মানুষ নেই। সবাই মানুষের মতো মুখোশ পরে রয়েছে। আমার ভাইটা কত আকুতি-মিনুতি করেছিল। সেই সময় পুলিশ ব্যবস্থা নিলে ছোট্ট মেয়েটাকে জীবিত উদ্ধার করা যেত বলে তিনি মন্তব্য করেন। অন্যদিকে, কাঁটাপুকুর মর্গের সামনে কিশোরীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আনার পর বাম ও বিজেপি নেতা-নেত্রীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।