সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি একটি উল্লেখযোগ্য আদেশ (Judicial Ethics) জারি করেছে যাতে বিচারকদের সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের মতামত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে বিচারকদের সাধুদের মতো জীবনযাপন করা উচিত এবং ঘোড়ার মতো কাজ করা উচিত। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, বিচার বিভাগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ বা মন্তব্য করার কোনও জায়গা নেই। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের দুই মহিলা বিচারপতি অদিতি কুমার শর্মা ও সরিতা চৌধুরীকে বরখাস্ত করার বিষয়ে বিশেষভাবে এই আদেশ জারি করা হয়।
বিচারপতি এস নাগরত্না ও বিচারপতি এন কোটিসওয়ার সিংহের বেঞ্চ বলেছে, বিচারকদের ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলা (Judicial Ethics) উচিত। আদালত বলেছে, “বিচারকদের সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে মন্তব্য করা উচিত নয় কারণ ভবিষ্যতে একই রায় উদ্ধৃত করা হলে এটি তাদের আগের মন্তব্য দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে”। আদালত আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, বিচারকদের তাদের কাজে সততা ও ন্যায্যতা বজায় রাখতে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকা উচিত।
অদিতি শর্মার বরখাস্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে
অদিতি কুমার শর্মা এবং সরিতা চৌধুরীর বরখাস্তের বিষয়টি মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট আমলে নিয়েছে। অদিতি শর্মার ক্ষেত্রে, দাবি করা হয়েছিল যে তার পারফরম্যান্স ২০১৯-২০ থেকে খারাপ হয়ে গেছে। ২০২২ সালে, তার নিষ্পত্তির হার ২০০-এরও কম ছিল, যার কারণে তার বরখাস্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তবে, অদিতি শর্মা হাইকোর্টকে বলেছিলেন যে তিনি ২০২১ সালে গর্ভবতী ছিলেন এবং তার পরে তার ভাইয়ের ক্যান্সার ধরা পড়েছিল। এটি তার পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলেছিল।
বিচার বিভাগের কাজের গুণগত মান খতিয়ে দেখছে আদালত
এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের বিচার বিভাগীয় আধিকারিকদের কাজের মান (Judicial Ethics) পর্যালোচনা করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। আদালত আরও বলেছে যে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বিচার বিভাগীয় কাজ সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা যায়নি, তবুও বিচারকদের বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপরই হাইকোর্ট এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়।
বিচার বিভাগীয় আধিকারিককে বরখাস্তের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের ছয়জন মহিলা দেওয়ানি বিচারককে বরখাস্ত করার বিষয়টিও সুপ্রিম কোর্ট আমলে নিয়েছিল। বলা হচ্ছে যে এই বিচারকদের কর্মক্ষমতার ভিত্তিতে বরখাস্ত করা হয়েছিল, কিন্তু আদালত বলেছে যে এটি সঠিকভাবে করা হয়নি। মামলার গুরুত্ব অনুধাবন করে আদালত হাইকোর্টকে এই বিষয়গুলি পুনরায় খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয়।