আরজি করের তরুণী চিকিৎসক খুনের ৫০ দিন পার (Junior Doctors)। এখনও বিচার অধরা। তরুণী চিকিৎকের বিচার সহ একাধিক দাবিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors) আন্দোলন শুরু করেছিলেন। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়ার্স ডক্টরস ফ্রন্টের (Junior Doctors) ডাকে গণ কনভেনশনের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত কোনও কারণে কোনও অডিটোরিয়ামে সেই গণকনভেনশনের অনুমতি পাওয়া যায়নি। অবশেষে SSKM-এ সেই কনভেনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors) তিলোত্তমা কাণ্ডের ৫০ তম দিনে আগামী দিনে আন্দোলনের রূপরেখা স্থির করার জন্য গণকনভেশনের ডাক দিয়েছেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors) দাবি, ধনধান্য অডিটরিয়ামে মৌখিক অনুমতি পাওয়া গিয়েছিল। একটি সঙ্গীতের অনুষ্ঠানের পরেই তাঁদের কনভেনশন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আভ্যন্তরীণ নীতির কথা সামনে রেখে ধনধান্য অডিটরিয়াম পরবর্তীকালে সেই অনুমতি বাতিল করে দেয়। সঠিক কোনও কারণ ধনধান্য অডিটোরিয়ামের কর্তৃপক্ষ দেয়নি বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। সে কারণেই শুক্রবার বিকাল চারটেয় এসএসকেএমে চিকিৎসকরা গণকনভেনশন করবেন।
এই প্রসঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসক (Junior Doctors) কিঞ্জল নন্দ বলেন, “আমার মনে হয় এটাও থ্রেট কালচারের অংশ। আমরা প্রথম থেকেই জানিয়ে এসেছি, আমাদের কোনও রাজনৈতিক রঙ নেই। সেই জায়গায় আমাদের যখন ধনধান্য অডিটরিয়ামে অনুমতি দেওয়া হল না, সেক্ষেত্রে মনে হয়, আমাদের এই কর্মসূচিকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যেমন আরজি করের সামনে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেরকম একটি বিষয়।”
এই প্রসঙ্গে সিনিয়র চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, “জুনিয়র চিকিৎসকদের এই আন্দোলন বর্তমানে গণআন্দোলনের চেহারা নিয়েছে। সেখানে কোথায় দাঁড়িয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা মিটিং করছেন সেটা বড় কথা নয়। শহরের প্রতিটা রাজপথে তাঁদের আন্দোলন ধ্বনিত হচ্ছে। কিন্তু আন্দোলনের প্রতি সরকারের ভরসা, অবিশ্বাস, কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এই ধরনের ব্যবহার করতে হয়।”
প্রসঙ্গত, জুনিয়র চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যভবনের সামনে রাত-দিন এক করে ধরনা দিয়েছিলেন। তারপরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করার পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। এরপরেই মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক হয়। বৈঠকের পরে মুখ্যসচিব স্বাস্থ্যসচিবকে একাধিক নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠায়। সেই চিঠির পর জুনিয়র চিকিৎসকদের ধরনা মঞ্চ উঠে যায়।