জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors) হুঁশিয়ারি দিয়ে একাধিকবার হুমকি দিয়েছেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এবার তাঁর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিকে চিঠি দিল ডাক্তারদের সংগঠন (Junior Doctors) আইএমএ। তৃণমূলের একের পর এক বিধায়ক জুনিয়র চিকিৎসক(Junior Doctors) ও চিকিৎসকদের হুমকি দিচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের চিঠিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় উত্থাপন করেছেন চিকিৎসক সংগঠন আইএমএর যুগ্ম সম্পাদক রঞ্জন ভট্টাচার্য। সোমবার আরজি করের শুনানির সময় হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টে উঠতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
যদিও এই বিষয়ে ফের হুমকি শোনা গিয়েছে (Junior Doctors) হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে। রবিবার হুমায়ুন বলেন, ‘‘আমরা আইন তৈরি করি। কোনটা আইনসঙ্গত আর কোনটা বেআইনি খুব ভাল করে জানি। কারও জন্য যদি আমাকে জেলে যেতে হয়, তবে জামিন পাওয়ার পর ৫০ হাজার লোক নিয়ে জমায়েত করব। অপরাধ না করে যদি শাস্তি পাই, তবে ফিরে এসে অপরাধ করতে কুণ্ঠাবোধ করব না।’’
হুমায়ুন কবীর বার বার জুনিয়র চিকিৎসকদের হুমকি দিয়েছেন। চিকিৎসকরা সুপ্রিম কোর্টে হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন জানার পরেও একই অবস্থানে রয়েছেন হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, ‘‘ওদের যেমন আন্দোলন করার অধিকার আছে, বাংলায় তৃণমূলেরও ৩ কোটি ভোটার আছে। ১০ হাজার মাঠে নামলে কী হবে, তখন বুঝবে…।’’ চিকিৎসা পরিষেবা না দিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের এই আন্দোলনকে চ্যাংড়ামো বলে অবিহিত করেছেন তৃণমূলের বিধায়ক। পাশাপাশি তিনি মন্তব্য করেন, তাঁর এই অবস্থানের জন্য জেলে যেতে হলে, তিনি তার জন্যও প্রস্তুত।
হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘‘ডাক্তারদের দ্বিতীয় ভগবান বলা হয়। সেই ভগবানের আচরণ কী? সিগারেট নিয়ে নাচানাচি করছেন, ঢাক-ঢোল বাজাচ্ছেন। এ সব কি আন্দোলনের নামে চ্যাংড়ামো নয়?’’ জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে আর্থিক সহযোগিতার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলে তৃণমূল বিধায়কের দাবি, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে বিরোধী দলগুলি একত্রিত হয়ে নোংরা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশীদার জুনিয়র ডাক্তাররা। যাঁরা আন্দোলনের নামে অসভ্যতা শুরু করেছেন।’’