বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকদের কঠিন ভাষায় হুমকি দিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। হিসাব বুঝে নেওয়ার হুমকি দেন তিনি (Humayun Kabir)। একের পর এক হুমকি জুনিয়র চিকিৎসকদের দিয়ে আসছিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক (Humayun Kabir)। শেষে তাঁর বিরুদ্ধে FIR করা হয়। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর(Humayun Kabir) বলেন, ‘বহরমপুর মেডিক্যালের ডাক্তারদের চলাফেরার ওপর লক্ষ্য রাখছি। সরকারি বিল্ডিংয়ে থাকে, ঘুমায়, এসি-র হাওয়া খায়। সব লক্ষ্য রাখছি, আমার বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে। জেল খেটে এসে, ৫০ হাজার লোক নিয়ে বহরমপুর মেডিক্যালে যাব।’ হুমায়ুন কবীরের (Humayun Kabir) এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
চিকিৎসক সংগঠনের তরফে আইনি নোটিশের হুঁশিয়ারি দিয়ে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ককে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে বলে জানানো হয়েছে। এখানেই বসে নেই চিকিৎসকদের সংগঠন। হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টে চিঠি লিখে অভিযোগ জানানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে সোমবার আরজি করের শুনানির সময় হুমায়ুন কবীরের হুমকির বিষয়টি উঠতে পারে। প্রশ্ন উঠছে, এক জন বিধায়ক বা জনপ্রতিনিধি যদি ক্রমাগত এভাবে জুনিয়র চিকিৎসকদের হুমকি দিয়ে যান, তাহলে সাগর দত্তের মতো হামলার ঘটনা ঘটতেই থাকবে। জনপ্রতিনিধিদের হুমকি সোমবার সুপ্রিম কোর্টে একটা বড় অংশজুড়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আর কী বলেছিলেন হুমায়ুন কবীর? জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে কার্যত কটাক্ষ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, “হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘‘ডাক্তারদের দ্বিতীয় ভগবান বলা হয়। সেই ভগবানের আচরণ কী? সিগারেট নিয়ে নাচানাচি করছেন, ঢাক-ঢোল বাজাচ্ছেন। এ সব কি আন্দোলনের নামে চ্যাংড়ামো নয়?’’ জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে আর্থিক সহযোগিতার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলে তৃণমূল বিধায়কের দাবি, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে বিরোধী দলগুলি একত্রিত হয়ে নোংরা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশীদার জুনিয়র ডাক্তাররা। যাঁরা আন্দোলনের নামে অসভ্যতা শুরু করেছেন।”