জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন (Junior Doctors Protest) অব্যাহত রয়েছে। অনশনের ১০০ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors Protest) অনশন চলছেই। বুধবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors Protest) বৈঠক হয়। কিন্তু সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। সপ্তমীতে জুনিয়র চিকিৎসকরা অনশন (Junior Doctors Protest) অব্যাহত রেখেছেন। অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors Protest) শারীরিক অবস্থার ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। বিশেষ করে চিন্তা বাড়াচ্ছে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ অনিকেত মাহাতো। কোমায় চলে যেতে পারে অনিকেত মাহাতো বলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানিয়েছেন।
আরজি করের চিকিৎসক সৈকত নিয়োগী সপ্তমীর সকালে জুনিয়র চিকিৎসকদের পরীক্ষা করে জানিয়েছেন। তিনি পরীক্ষা করে বলেন, অনিকেতের অবস্থা বিপজ্জনক। চিকিৎসক জানিয়েছেন, অনিকেতের দেহে কিটোন বডির উপস্থিতি মিলতে শুরু করেছে। কিটোন বডির পরিমাণ ৩+। কিটোন বডি বাড়তে থাকলে কিটো অ্যাসিডোসিস হয়ে কোমায় যেতে পারে রোগী। ধীরে ধীরে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিকল হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও এই অনশনের প্রভাব অনিকেতের লিভারের ওপর পড়তে শুরু করেছে। চিন্তা বাড়ছে চিকিৎসকরা। কিন্তু নিজের শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা জানার পরেও অনিকেত মাহাতো নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছে।
গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে আটটার সময় ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলের সামনে অনশনে বসেছেন। অনশনের ১১৩ ঘণ্টা অতিক্রম করে গিয়েছে। কিন্তু এখনও নিজেদের অবস্থানে অনড়। সিনিয়র চিকিৎসকরা বার বার জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন থেকে সরে আসতে বলছেন। কিন্তু অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা।
সপ্তমীর সকালেও অনশনকারীদের মঞ্চে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে দেখার মতো। বুধবার জুনিয়র চিকিৎসকদের রাজ্যের তরফে আলোচনায় ডাকা হয়। জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দল নবান্নে আলোচনায় বসেন। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকরা বৈঠক শেষে জানান, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। অনশন চলবে। পরিস্থিতি আরও ভয়ানক আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। ইতিমধ্যে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলো থেকে দুই শতাধিক সিনিয়র চিকিৎসক গণইস্তফা দিয়েছেন। প্রয়োজনে তাঁরা ব্যক্তিগত ইস্তফা দেবেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।