দুই মাসের বেশি সময় ধরে জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior doctors Protest) একাংশ লড়াই করছেন আরজি করের নির্যাতিতার বিচার চেয়ে। পাশাপাশি তাঁরা (Junior doctors Protest) আরও কয়েক দফা দাবি করেছিলেন। নিজেদের দাবি আদায় করতে তাঁরা (Junior doctors Protest) আমরণ অনশনে গিয়েছিলেন। তবে আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের অনুরোধে তাঁরা অনশন তুলে নেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে যোগ দেন। সেই সময় জুনিয়র চিকিৎসকরা কার্যত সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, তাঁরা অনশন তুলে দিচ্ছেন কিন্তু আন্দোলন থেকে সরছেন না। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে সেই কথাই যেন জুনিয়র চিকিৎসক ফোরামের থেকে মনে করিয়ে দেওয়া হল।
এদিন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ সিবিআইয়ের চার্জশিট নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন। সেই প্রশ্ন তুলে তাঁরা সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানও করেছিলেন। জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, “৯ই নভেম্বর আমরা বিভিন্ন মেডিকেল কলেজগুলিতে অভয়ার স্মৃতিতে ‘দ্রোহের গ্যালারি’ প্রদর্শনী করতে চলেছি যেখানে এই চলমান আন্দোলনের বিভিন্ন মুহুর্ত কে ও মূলসুর কে ধরে রাখার চেষ্টা করা হবে বিভিন্ন ছবি, পোস্টার, কবিতা, আর্ট ইনস্টলেশন এর মাধ্যমে। ওই দিন আরজি কর হাসপাতালে রক্তদান শিবির এর আয়োজন হবে।”
শুক্রবার ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র চিকিৎসক ফোরামের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। সেখানে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, “অভয়ার বিচার না পাওয়ার ৮৪ তম দিন। বিচারের দাবিতে এতদিন ধরে সোচ্চার আমরা, সব বয়সের, সব শ্রেণীর মানুষ গর্জে উঠেছি বারবার, দখল নিয়েছি রাজপথ, স্লোগান তুলেছি কোটি কণ্ঠে। এই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে গোটা দেশ, গোটা বিশ্ব অপেক্ষায় আছে অভয়ার ন্যায়বিচারের জন্য। আমরা দেখেছি কলকাতা পুলিশ কীভাবে তদন্তের নামে অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছে; দেখেছি প্রশাসন কীভাবে অপরাধীদের আড়াল করেছে। আন্দোলনের চাপে তদন্তভার গিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এর কাছে, নজরদারি করছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এত কিছুর পরেও তদন্তের গতি এখনও অতি শ্লথ, বিচার এখনও অধরা। সিবিআই একটা প্রাথমিক চার্জশিট পেশ করেছে নিম্ন আদালতে। সমাজমাধ্যমে একটা নথি ঘুরছে যেটা সিবিআই চার্জশিট বলে মনে করা হচ্ছে। যদি তাই হয় তাহলে বলা যায় অত্যন্ত দুর্বল সেই চার্জশিটে ধোঁয়াশা অনেক, এই অপরাধ ঘিরে অনেক প্রশ্নেরই কোনও উত্তর নেই তাতে।”