কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest)। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক করতে গিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest)। কিন্তু কালীঘাটের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার সময় হতাশায় ভেঙে পড়েছিলেন। কিন্তু যখন বাস থেকে নামলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest) যেন নতুন উদ্যোম মনের মধ্যে জেঁকে বসেছেন।
কাঁদতে কাঁদতে জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest) বলেন, হঠাৎ করে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে, আর আলোচনা সম্ভব নয়। আমরা দুই-তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। আমরা আর আলোচনায় বসতে রাজি নয়। রাজ্যের অচলাবস্থা কাটাতে আমরা লাইভ স্ট্রিমিং, ভিডিও রেকর্ডিং সব ত্যাগ করলাম। কিন্তু তাও বলল আলোচনায় বসতে দেরি হয়ে গিয়েছে। হয়, আপনারা বেরিয়ে যান। নইলে আপনাদের বাস ডেকে আপনাদের বের করে দেওয়া হবে। তারপরেই নিজেরা গাড়িতে করে বেরিয়ে যান। আমরা ধরে বৃষ্টিতে ভিজছি, সহযোদ্ধারা ভিজছেন, আর উনি বলছেন তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন। আমরা বৃষ্টিতে ভিজে চারদিন ধরে স্বাস্থ্যভবনের সামনে অপেক্ষা করছি। কিন্তু আমাদের প্রায় ঘাড় ধাক্কা দিয়েই বের করে দেওয়া হল। তার মানে কি প্রথম থেকে এটাই উদ্দেশ্য ছিল।” বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পরেই এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকরা কালীঘাট ছাড়া আগেই তিলোত্তমা কাণ্ডে আরজি করের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার অপসারিত ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। স্বাস্থ্য ভবনের ধরনা মঞ্চে জুনিয়র চিকিৎসকরা কালীঘাট থেকে ফিরে বক্তব্য রাখেন। তাঁরা বলেন, সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের গ্রেফতারের খবরেই ওনারা বোধহয় আলোচনা করতে অস্বীকার করেছেন। পাশাপাশি তাঁরা বলেন, এবার তিলোত্তমা ধর্ষণ ও খুনের মামলায় আরও বড় মাথা গ্রেফতার হতে পারে।
তিলোত্তমা কাণ্ডে কলকাতা পুলিশ ১০ আগস্ট সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়। এরপরে সিবিআই দীর্ঘদিন কাউকে গ্রেফতার করেনি। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে। পাশাপাশি সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই দুই কারণে সিবিআই দেবাশিষ মণ্ডল ও সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, দিল্লির সিবিআই হেড কোয়ার্টার থেকে কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন সিবিআই-এর জয়েন্ট ডিরেক্টর। তিলোত্তমা ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে গতিপ্রকৃতি কোন দিকে যাচ্ছে, সেটি খতিয়ে দেখতেই তিনি আসেন। এরপরেই সিবিআইয়ের উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক হয়।