আরজি করে নির্যাতিতার বিচার সহ ১০ দফা দাবিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest) দুই মাসের ওপর আন্দোলন করছেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors Protest) আনশন সাত দিন পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফে কোনও সদর্থক ভূমিকা দেখতে পাওয়া যায়নি বলে জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest) অভিযোগ করেছেন। এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চরম সতর্ক করলেন দিল্লি এইমস ও চণ্ডীগড় পিজিআই-এর রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন।
দিল্লি এইমস ও চণ্ডীগড় পিজিআই-এর রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, অবিলম্বে এই জট কাটাতে হবে। না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে যেতে চিকিৎসকরা বাধ্য হবেন। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লি এইমস ও চণ্ডীগড় পিজিআই-এর রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের ঘিরে যে পরিস্থিতি চলছে তাতে আমরা PGIMER- এর রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের সদস্যরা অনির্দিষ্টকালের জন্য আমরণ অনশনে বসেছেন । এটি বিষয়টির গুরুত্ব বোঝায় যাতে মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন আছে। ন্যায়বিচারের জন্য আমাদের যেসব সহকর্মী লড়ছেন, আমরা তাঁদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। তাঁরা আপনার রাজ্যে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপদ পরিবেশে কাজের দাবি জানিয়েছেন। এই জুনিয়র ডাক্তারদের ক্রমাগত স্বাস্থ্য অবনতির বিষয়টি গভীর উদ্বেগের বিষয়। আপনার কাছে অনুরোধ, পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে গঠনমূলক আলোচনা করুন । তাঁদের দাবি আমরাও খতিয়ে দেখেছি। যা যুক্তিযুক্ত।
পাশাপাশি জানানো হয়েছে, অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের যদি কোনও রকমের ক্ষতি হয়, সেক্ষেত্রে বড় ধরনের আন্দোলনে যেতে তাঁদের বাধ্য করা হবে।
১০ দফা দাবি জানিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলন করছেন। অনশনে বসেছেন। অনশনের সাত দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কোন সরকারের তরফে কোনও সদর্থক ভূমিকা দেখা যায়নি বলে জুনিয়র চিকিৎসকরা অভিযোগ করেছেন। ইতিমধ্যে অনশনের জেরে তিন জুনিয়র চিকিৎসককে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।