আগে থেকেই জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors) রাজ্য সরকার ও স্বাস্থ্য ভবনের কাছে পাঁচ দফা দাবি করেছিলেন। এবার তার সঙ্গে স্বাস্থ্য সচিবের ইস্তফার দাবি করেছেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors)। পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তার ইস্তফার দাবি তুলেছেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors) জানিয়েছেন, তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত স্বাস্থ্য ভবনের সামনে টানা অবস্থানে থাকবেন।
আন্দোলনরত চিকিৎসকরা (Junior Doctors) মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ করুণাময়ী থেকে স্বাস্থ্যভবন অভিযানের ডাক দেন। এই অভিযানের শুরুর দিকে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা (Junior Doctors) থাকলেও যোগ দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। প্রথমে পুলিশ স্বাস্থ্য ভবনের থেকে ৫০০ মিটার দূরে ব্যারিকেট গড়ে তোলে। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors) সাফ জানিয়ে দেন, তাঁরা লালবাজার অভিযানের মতো অবস্থান নিতে চলেছে।এরপরেই স্বাস্থ্য ভবন থেকে ১০০ মিটার দূরে ব্যারিকেট গড়ে তোলে পুলিশ। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বিশাল পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি ব়্যাফও উপস্থিত হয়েছে। যদিও স্বাস্থ্যভবনের তরফে জানানো হয়েছে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে তাঁরা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। অন্যদিকে, আন্দোলনরত চিকিৎসকরা সাফ জানিয়েছেন, বিকেল পাঁচটার মধ্যে তাঁদের দাবি মেনে, জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে যোগ দেওয়ার কথা ভেবে দেখতে পারেন। তবে জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরের বিষয়ে কোনও মন্তব্য প্রকাশ করেনি। অন্যদিকে, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের মিছিল ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে এসে পৌঁচেছে। সেখানেই তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন বলে সাফ জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ডে মোড় ঘোরানো তথ্য সামনে এসেছে। এসেছে। তরুণী চিকিৎসকের পোস্টমর্টেম করা তিন সদস্যের দলের একজনের নোট ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ রিনা দাসের নোট প্রকাশ্যে এসেছে। সেটা ঘিরেই নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রিনা দাস স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘বিকেল চারটের পর ময়নাতদন্ত করতে হলে স্পেশাল অর্ডার লাগবে’। সেই নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তিনি পোস্টমর্টেম করবেন না। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের পুরনো মেমোর উল্লেখ করেছিলেন রিনা দাস। জানা যাচ্ছে, এরপরেই টালা থানার ওসি আরও সক্রিয় হয়ে ওঠেন। টালা থানার ওসি একটি চিঠিতে লিখেছিলেন, জরুরি পরিস্থিতিতে এবং কিছু বিশেষ ইস্যুতে বিকেল চারটের পর ময়নাতদন্ত করার অনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু তখনও পর্যন্ত টালা থানায় কোনও FIR নথিভুক্ত করা হয়নি।