অনশন করতে গিয়ে একের পর এক জুনিয়র চিকিৎসক গুরুতর (Junior Doctors Protest ) অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সঙ্কটজনক অবস্থায় ইতিমধ্যে জুনিয়র চিকিৎসক(Junior Doctors Protest ) অনিকেত মাহাতো, আলোক বর্মা ও অনু্টুপ মুখোপাধ্যায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ধর্মতলায় এখনও জুনিয়র চিকিৎসকরা অনশন(Junior Doctors Protest ) করে চলেছেন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও অনশন করে চলেছেন। এই পরিস্থিতিতে কল্যানীর জেএনএম হাসপাতালের ৭৭ জন চিকিৎসক গণইস্তফা দিয়েছেন। তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, আগামী কাল অর্থাৎ সোমবার থেকে কাজে যোগ দেবেন না। এতদিন দুই শতাধিক চিকিৎসক গণইস্তফা দিলেও কাজ করে গিয়েছেন। কিন্তু কল্যানীর জেএনএম চিকিৎসকরা কাজে যোগ না দিলে, চিকিৎসা পরিসেবার ওপর একটা বড় প্রভাব পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
রবিবার জুনিয়র চিকিৎসকরা সাধারণ মানুষকে একবেলা অরন্ধনের আহ্বান করেছেন। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষের অনেকের বাড়িতে অরন্ধন হচ্ছে। এমনকী আরজি করের নির্যাতিতার বাড়িতে রবিবার কোনও রান্না হচ্ছে না। সোমবারের মধ্যে সরকার কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ না নিলে, জুনিয়র চিকিৎসকরা সেই আন্দোলন আরও তীব্র করবেন বলে জানানো হয়েছে। চিকিৎসকদের গণইস্তফা নিয়ে শনিবাবই রাজ্য সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এই ধরনের গণইস্তফা গ্রাহ্য করা হয় না। ব্যক্তিগতভাবে চিঠি দিয়ে পদত্যাগ করতে হয়।
শনিবার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ডাক্তারদের গণইস্তফা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। এটা কোনও গ্রাহ্য পদত্যাগই নয়। যেখানে অভিযোগ লেখা নেই, শুধু কয়েকজন সিনিয়র চিকিৎসকদের সই রয়েছে। এভাবে কোনও পদত্যাগপত্র গৃহীত হতে পারে না।’ যদিও চিকিৎসক সুবর্ন গোস্বামী বলেছেন, গত ১০ বছরে অন্তত ৬০০ জন চিকিৎসক ইস্তফা দিতে চেয়েছেন। সেগুলোর বিষয়ে আগে সরকার সিদ্ধান্ত নিক। তবেই বোঝা যাবে, সরকারের মুখের কথার সঙ্গে কাজের মিল রয়েছে।
অন্যদিকে, জুনিয়র চিকিৎসকরা যে ১০ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন। তারমধ্যে একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে হাসপাতালে নিরাপত্তা। সেই দাবিকে কার্যত প্রাসঙ্গিক করে SSKM হাসপাতালে রবিবার সকালে দুষ্কৃতী হামলা হয়। অভিযোগ সেই সময় পুলিশ নীরব ভূমিকা গ্রহণ করেছিল।