সোমবার সকালেই জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors Protest) কাছে ইমেল যায় মুখ্যসচিবের কাছ থেকে। সেখান থেকেই জানা যায়, রাজ্য সরকার আবার বৈঠকে বসতে আগ্রহী। তবে এক্ষেত্রে কোনও ভিডিওগ্রাফি ও লাইভ স্ট্রিমিং হবে না তা স্পষ্ট করে জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors Protest) জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরেই জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest) বৈঠকে বসেন। প্রথমে কলেজ ভিত্তিক নিজেরা বৈঠক করেন। তারপরেই প্যান জিবি হয়। বর্তমানে আন্দোলনরক জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest) প্যান জিবি বৈঠকে বসেছেন।
সোমবার সকালেই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে চিঠি আসে। তারপর থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা হয়। আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, আগে আমরা ভিডিওগ্রাফির মিনিটসে রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এক্ষেত্রে সেটাও হবে না। আমরা আলোচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেব। এই মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করলেও পাঁচ দফা দাবির বাইরে কোনও আলোচনা করবো না। তবে আলোচনা হবে কি না, সেটা বৈঠকের পরেই বোঝা যাবে। তবে তিনি বলেন, শনিবারের থেকে পরিস্থিতি অনেক বদলে গিয়েছে। অন্য এক আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, এই বিষয়ে লিগ্যাল টিমের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে। তবে বৈঠক হবে কি না, সেই নিয়ে এখনও কিছুই বলা যচ্ছে না।
শনিবার যখন কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকের জন্য জুনিয়র চিকিৎসকরা যান, তখনের থেকে এখনের পরিস্থিতি অনেক পাল্টে গিয়েছে। সরকারি সমস্ত শর্ত মেনে আলোচনাতে বসতে জুনিয়র চিকিৎসকরা রাজি হলেও শেষ মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী বেঁকে বসেন। যার জেরে বৈঠক কার্যত ভেস্তে যায়। কিন্তু কালীঘাট থেকে স্বাস্থ্যভবনে ফিরে আসার সময় তাঁরা জানতে পারেন, আরজি কর কাণ্ডে প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল গ্রেফতার হয়েছে। রবিবার টালা থানার ওসির বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ শিয়ালদহ আদালতে তোলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। অন্যদিকে, রবিবার আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের ডাকে মহামিছিল হয়। সেখানে প্রচুর মানুষ অংশগ্রহণ করেন। যার জেরে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের মনোবল এখন অনেকেই ওপরে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।