স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest) ধরনা দিয়েছেন। সেখানেই তাঁরা খুলেছেন অভয়া ক্লিনিক। সেই নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের তীব্র কটাক্ষ করলেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, শুনতে ভালো লাগছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভালো লাইক পাওয়া যাবে। বাস্তবে কতটা সম্ভব, তাই নিয়ে ধন্দ রয়েছে। কুণাল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় (Junior Doctors Protest) লিখেছেন, “এই ক্লিনিক বাস্তবে কতটা সম্ভব? সরঞ্জামেরই বা কী হবে? এমার্জেন্সি? বড়সড় পরীক্ষা? বিশেষ করে অপারেশন? সম্ভব?”
পাঁচ দফা নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলন (Junior Doctors Protest ) করছেন। বর্তমানে তাঁরা স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধরনায় বসেছেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors Protest) স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধরনায় আজকে চারদিন। প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও চলছে স্লোগান। অন্যদিকে, একাধিক জায়গায় ত্রিপল ছিঁড়ে গিয়েছে। এদিকে শুক্র ও শনিবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যার জেরে জুনিয়র চিকিৎসকরা বিপাকে পড়তে পারেন। কিন্তু এই বিষয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের মুখে কিছু বলতে হয়নি। তার আগেই রাজ্যের সাধারণ মানুষ ত্রিপল জোগাড় করে ধরনাস্থলে পৌঁছে দিয়ে এসেছেন।
রাজ্য প্রশাসনের ওপর আর ভরসা রাখতে পারছে না। আগের দিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর এবার দিল্লির দরবারে হাজির হলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest)। রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চেয়ে ইমেল করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (junior Doctors Protest)। পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকরা উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকেও জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest) মেল করেছেন বলে জানা গিয়েছে। সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তা নেই, পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই, সরকারি হাসপাতালে মহিলাদের কাজের পরিবেশ উদ্বেগজনক বলে জুনিয়র চিকিৎসকরা ইমেলে দাবি করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তিনি লাইভ স্ট্রিমিং করতে চাননি, কারণ সুপ্রিম কোর্টে ঘটনার বিচার হচ্ছে। পাশাপাশি সিবিআই তদন্ত করছে। অন্যদিকে, তিনি পরোক্ষে বলেন, জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোনের সঙ্গে রাজনৈতিক রঙ রয়েছে। তিনি বলেন, জুনিয়র চিকিৎসকরা কাজে ফিরতে চাইছেন। বৈঠক করতে চাইছেন। কিন্তু দু-এক জনের জন্য তাঁরা পারছেন না। বাইরে থেকে তাঁদের ওপর নির্দেশ আসছে। সেই অনুযায়ী তারা কাজ করছে। তিনি বলেন, ওরা বিচার চায় না, চেয়ার চায়। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা বলেন, চেয়ারের ওপর ভরসা করে বিচার চাইতে গিয়েছিলেন।