বৃষ্টি মুখর দিনে আচমকাই মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন (Junior Doctors Protest) মঞ্চে উপস্থিত হন। সেখানে তিনি বলেন, এখানে (Junior Doctors Protest) আমি এখানে আজ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আসিনি। দিদি হিসেবে এসেছি। তিনি বলেন, “আমি চাই তিলোত্তমার বিচার হোক। তিন মাসের মধ্যে যেন ফাঁসির অর্ডার দেওয়া হয়।” জুনিয়র চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রী এভাবে ধরনা মঞ্চে আসাকে ইচিবাচক হিসেবে দেখছেন।
জুনিয়র চিকিৎসক (Junior Doctors Protest) অনিকেত মাহাতো বলেন, তাঁরা এখনই এই আন্দোলন থেকে পিছপা হবেন না। যে স্পিরিট নিয়ে আন্দোলন (Junior Doctors Protest) চলছে, সেই স্পিরিট নিয়ে আন্দোলন (Junior Doctors Protest) চলতে থাকবে। আমরা আমাদের পাঁচ দফা দাবি নিয়ে যে কোনও জায়গায় আলোচনায় বসতে চাই। আমরাও দ্রুত কাজে ফিরতে চাই। আমি কোনও অন্যায় দাবি করিনি। এই দাবি নিয়ে আমরা আলোচনায় বসতে চাই। এই ৫ দফা নিয়ে আমরা কোনওরকম সমঝোতায় যেতে এখনও রাজি নয়।”
অন্য এক আন্দোলনকারী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যে প্রস্তাব দিয়েছেন, সেটাকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করব। সেই অনুযায়ী জানাবো। আমরা সব সময় আলোচনা করতে চাই। আমরা চাই এই সমস্যার সুস্থ সমাধান হোক।” অন্য এক আন্দোলনকারী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপকে সদর্থক ভূমিকা হিসাবে দেখছি। ওয়েলকাম জানাচ্ছি। কিন্তু ন্যায় বিচারের পাঁচ দফা দাবিতে আমরা কোনও সমঝোতা করব না। আমরাও এক্ষুনি আলোচনার টেবিলে বসতে চাই। সব মিডিয়ার সামনেই হবে। তবে আমরা দিদি হিসেবে ওনাকে এখানে চাইনি। কারণ দিদির থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ বড়। আলোচনার লাইভ স্ট্রিমিংয়ে আমরা অনড়।”
প্রসঙ্গত, জুনিয়র চিকিৎসকদের ধরনা মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি সব হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিলাম। এবার থেকে রোগী কল্যান সমিতির অধ্যক্ষদের চেয়ারম্যান করবো। সেই সমিতিতে থাকবে জুনিয়র চিকিৎসক, সিনিয়র চিকিৎসক, নার্স, জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ। আমি সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যান সমিতি ভেঙে দিলাম। আমি আরজি করের রোগী কল্যান সমিতি ভেঙে দিলাম।”