গতকালই মহামিছিলের ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior doctors Protest)। সেই ডাকে সাড়া দিলেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ (Junior doctors Protest)। মিছিলের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior doctors Protest) ইমেল পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের তরফে অনুমতি দেওয়া হয়নি। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, দুটো বড় পুজো রাস্তায় (Junior doctors Protest) পড়বে। যার জেরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হবে। এক্ষেত্রে জুনিয়র চিকিৎসকরা(Junior doctors Protest) মেডিক্যাল কলেজের ছয় নম্বর গেট থেকে মিছিল বের করে ধর্মতলা অনশন মঞ্চ অবধি নিয়ে আসার পরিকল্পনা নেয়। তারপরে পুলিশের অনুমতি মেলে না। পুলিশের অনুমতি না পাওয়া গেলেও জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশাপাশি অনেক সাধারণ মানুষ জড়ো হন। লম্বা মিছিল এগিয়ে যায় অনশন মঞ্চের দিকে।
তিন দিন ধরে জুনিয়র চিকিৎসকরা অনশন করছেন। ইতিমধ্যে অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করেছে। উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ৫০ জন চিকিৎসক প্রতীকী ইস্তফা দিয়েছেন। অন্যদিকে, মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা সরকারকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনও সদর্থক ভূমিকা প্রশাসনের তরফে দেওয়া না হলে, তাঁরাও গণইস্তফার পথে হাঁটবেন। সেই পথে এসএসকেএম চিকিৎসকদের হাঁটার সম্ভাবনা দেখতে পাওয়া গিয়েছে।
একটি হাসপাতাল থেকে এতজন চিকিৎসক গণইস্তফা দিলে কীভাবে হাসপাতালে স্বাস্থ্যব্যবস্থা চলবে? একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে জানা গিয়েছে, তাঁরা ইস্তফা দিলেও নিজেদের কাজ চালিয়ে যাবেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা প্রাণের বাজি নিয়ে অনশন শুরু করেছেন। কিন্তু বার বার তাঁদের আন্দোলনকে চেপে দেওয়ার জন্য প্রশাসন অনেক চেষ্টা করেছে। অনশন নিয়ে, চিকিৎসকদের আন্দোলন নিয়ে অনেক কটূক্তি করা হয়েছে। যার জেরে সিনিয়র চিকিৎসকরা বিরক্ত হয়ে পড়েছেন।
প্রসঙ্গত, পুলিশ বার বার জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশনকে প্রতিকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। জুনিয়র চিকিৎসকদের সাত জন অনশনে বসেছেন। তাঁদের জন্য বায়োটয়লেট বসাতে চেয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু তাতে পুলিশ বাধা দেয়। বার বার পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের মধ্যে বচসা হয়। পরে অনুমতি ছাড়াই জুনিয়র চিকিৎসকরা বায়োটয়লেট বসান। অন্যদিকে, সোমবার জুনিয়র চিকিৎসকদের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন চৌকি, প্লাস্টিকের চেয়ার, টেবিল আনা হচ্ছিল। কিন্তু স্লো ভেইকেল, দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে বউ বাজার থানার পুলিশ আটকে দেয়। প্রায় দুইঘণ্টা আটকে রাখার পর জুনিয়র চিকিৎসক ও সাধারণ মানুষ কাঁধে করে চৌকি নিয়ে আসে। আজ সকালে অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের আনা পানীয় জল আটকে দেয় প্রশাসন।