স্বাস্থ্য ভবনের সামনে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior doctors Protest) অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য পরোক্ষে চাপ দেওয়া হচ্ছে। এমনই অভিযোগ (Junior doctors Protest) উঠতে শুরু করেছে। জানা যাচ্ছে, তাঁবুতে (Junior doctors Protest) লাগানো ফ্যানও খুলে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ক্যাম্প খাট। এসব করতে ডেকরেটরদের উপর চাপ দেওয়া হচ্ছে, অভিযোগ আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের(Junior doctors Protest) । অন্য অনুষ্ঠান রয়েছে বলে অজুহাত দেখিয়ে ত্রিপল, পাখা খুলে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ জুনিয়র চিকিৎসকদের(Junior doctors Protest) একাংশের। তবে বিধাননগরের সিপি অনীশ সরকার জানিয়েছেন, আন্দোলন স্থল(Junior doctors Protest) থেকে এসব খুলে নেওয়ার জন্য পুলিশের তরফে কোনও চাপ প্রয়োগ করা হয়নি।
অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসক হত্যা মামলায় এবার সিবিআইয়ের নজরে সল্টলেকের একটি হোটেল। ৯ অগাস্ট রাতে কে ছিল সেই হোটেলে? হোটেলের কাছ থেকে রেজিস্টার চেয়ে পাঠালো সিবিআই। ইতিমধ্যে সেই সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন ওই হোটেলের দুই কর্মী। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, অ্যাপের মাধ্যমে সল্টলেকের ওই হোটেলে রুম বুক করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই-এর প্রশ্নের মুখে পড়েন DYFI নেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। আরজি করের মৃতা চিকিৎসকের গাড়ি আটকানোর ছবি ও ভিডিওতে মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। সেই কারণেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। তিনি প্রায় দুই ঘণ্টা সিজিও কমপ্লেক্সে ছিলেন। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। নির্যাতিতার পরিবারের তরফেও জানানো হয়েছিল, তাঁদেরকেও মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় গাড়ি আটকানোর কথা বলেছিলেন। পরে নির্যাতিতার কাকীমা আফশোস করে বলেছিলেন, যদি সেদিন গাড়িটা আটকাতে পারতাম, মেয়েটার সুবিচার পেতে সুবিধা হতো। অন্যদিকে ১২ সেপ্টেম্বর সিবিআইকে নির্যাতিতার বাবা একটি চিঠি লিখেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছিল, সেই চিঠি গুরুত্ব সহকারে দেখে যেন সিবিআই তদন্ত করে। কারণ সেখানে অনেক লিড রয়েছে। তারপরেই মঙ্গলবার মাঝরাতে সিবিআই নির্যাতিতার বাড়ি যান। বুধবার মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে তলব করে। অনেকেই মনে করছে, নির্যাতিতার বাবার চিঠির প্রসঙ্গেই সিবিআই মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠিয়েছেন।