১০ দফা দাবি নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest) অনশন করছে। এই পরিস্থিতি সম্প্রতি একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক (Junior Doctors Protest) দেবাশিস হালদার স্ত্রী স্নিগ্ধা হাজরায় দিকে তাকিয়ে রয়েছে এবং পালস মাপছেন। স্ত্রী স্নিগ্ধা হাজরা জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে (Junior Doctors Protest) ছয়দিনের ওপর অনশন করছেন। ছবিটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নেটিজেনরা ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বিতর্ক উঠতে শুরু করেছে জুনিয়র চিকিৎস দেবাশিস হালদারের (Junior Doctors Protest) টিশার্ট নিয়ে।
এক ব্যক্তি (এক্স হ্যান্ডেলের নাম গরীব বাঙালি, রূপন ভাই) লেখেন, ‘ জুনিয়র ডাক্তার যার মাসিক স্টাইপেন্ড ৩৫ হাজার এই একটা আরমানি এক্সচেঞ্জের টিশার্ট পরে আছে যার দাম ৮০ ডলার বা ভারতীয় অর্থে ৬৭১৭ টাকা।’ সেই ব্যক্তি তাঁর পোস্টে আরও লেখেন, ‘এটা কি অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের রাস্তা না থাকলে সম্ভব? এখনই তদন্ত করা হোক, যদি আয়ের অতিরিক্ত কিছু সোর্স পাওয়া যায় তাহলে যেন ওর রেজিস্ট্রেশন ক্যানসেল করে দেওয়া হয়।’
দেবাশিস হালদারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগের পর সরব হয়েছেন মেঘনীল চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে ওই ব্যক্তি বলেন, তিনি নিজে এই টিশার্টটি কিনে এনেছেন। ধর্মতলার ফুট থেকে ২০০ টাকায় এই টিশার্ট কিনে এনেছেন। যদি কারও ভালোলাগে তাঁরা ধর্মতলার ফুটপাথ থেকে কিনে নিতে পারেন। তবে তিনি কেনার সময় টিশার্টে লেখা টিশার্টের ব্রান্ড পর্যন্ত দেখেননি। কারণ দেখার সময় ছিল না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কী লিখেছেন মেঘনীল চৌধুরী, “গত পরশুদিন। দুপুরবেলা হঠাৎ মৃন্ময় দা এসে বলে, মেঘনীল ভাই দেবার এক সেট জামা প্যান্ট জোগাড় করতে পারবি? ওর জামাগুলো পুরো ঘেমে গেছে, দাদার জামা কাপড় আনতে যাওয়ার মতো সময় ছিল না। সারাদিন সারারাত ওরা পড়ে থাকে ধর্মতলায়। বিচার চাইতে। সঙ্গে সঙ্গে ছুটি পাশেই, ধর্মতলার ঢালা tshirt এর বিক্রেতার কাছে। দেখিওনি কী brand -এর নাম লেখা ছিলো। তাড়াতাড়ি জামা প্যান্টটা পৌঁছনো দরকার ছিল।” পাশাপাশি তিনি লেখেন, “না, উনি কোনো branded জামা পরে নেই। উনি একটা ফুটপাথের দোকানের ২০০ টাকার tshirt পরে আছেন। ওনার ব্যাপারে এরম অভিযোগ আনার আগে, একবার দেবাশিস হালদারের সাথে কথা বলে আসুন। বুঝতে পারবেন, মাটির মানুষ বলতে কী বোঝায়। T-shirt টা আমি কিনেছিলাম। আবার বলি ৮০ ডলার এর নয়। ২০০ টাকার। ধর্মতলা ফুটপাথ। পছন্দ হলে নিজেও কিনে নিন। যে এরম লিখেছেন তাঁকে ধিক্কার জানাই। কে কী জামাকাপড় পরছে সত্যিই ভাবার মতো সময় নেই, মানসিকতাও নেই। আপনাদের হয়তো অষ্টমী, ওঁদের আজ ১২৮ ঘণ্টার আমরণ অনশন। ভুলভাল narrative এ চোখ কান দিয়ে বিভ্রান্ত না হয়ে, ধর্মতলায় আসুন। পাশে দাঁড়ান।”
অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী এই পোস্টটি শেয়ার করেন।