স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors Protest) ধরনায় দুই দিন কেটে গেছে। এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান মেলেনি। কবে সেই সমাধান পাওয়া যাবে, সেই নিয়েও কোনও নিশ্চিত ধারনা পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে যান সিনিয়র চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধরনা মঞ্চে কার্যত সিনিয়র চিকিৎসকরা হুমকি দিলেন। তাঁরা বলেন, একজন চিকিৎসকের ওপর (Junior Doctors Protest) যদি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে আমরা কর্মবিরতির মতো বড় পদক্ষেপ নিয়ে চিন্তা করব।
শিল্প সংক্রান্ত একটি বৈঠকে বক্তব্য রাখতে মুখ্যমন্ত্রী আরজি করের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। নবান্নে শিল্প সংক্রান্ত বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “ওরা (Junior Doctors Protest) কেন এত জেদ করছে? ওরা যা বলবে সব মানতে হবে?” বৃহস্পতিবার সকালে জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors Protest) সঙ্গে দেখা করতে আসেন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স-এর সদস্যরা। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest) যে পাঁচ দফা দাবি করেছেন তা অত্যন্ত নায্য। আমরা মনে করি, সেগুলো শুনে সমাধানের কোনও সদিচ্ছা প্রশাসনের দেখা যায়নি। নবান্ন থেকে যে মেলগুলো আসে, কোথাও মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা উল্লেখ নেই। বাস্তবে মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক এড়িয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে, তিনি জুনিয়র চিকিৎসকদের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন। তিনি অভিযোগ করছেন, জুনিয়র চিকিৎসকরা আলোচনায় বসতে চান না।
এছাড়াও সিনিয়র চিকিৎসকরা মন্তব্য করেছেন, “আমরা আশা করেছিলাম, দুর্নীতিমুক্ত ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র ডাক্তারদের আবেদনে সাড়া দিয়ে বৈঠকে বসতে রাজি হবেন। মুখ্যমন্ত্রী ইতিপূর্বে বহু বৈঠক করেছেন, যেখানে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ব্যবস্থা থেকেছে। কিন্তু আজ যখন জুনিয়র ডাক্তাররা লাইভ স্ট্রিমিংয়ের আবদেন করছেন, তখন মুখ্যমন্ত্রী এড়িয়ে যাচ্ছেন।”জুনিয়র চিকিৎসকদের বার বার কাজে ফিরতে বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু দোষীরা গ্রেফতার হননি এবং প্রত্যেকটা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যেভাবে এখনও হুমকি সিন্ডিকেট চক্রের পান্ডারা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তখন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় শোনা গেল না।