জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors Protest) ১০ দফা দাবি নিয়ে অনশন করছেন। সেই ১০ দফা দাবির মধ্যে একটি দাবি ছিল অবিলম্বে রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কেন্দ্রীয় ডিজিটাল রেফারেল ব্যবস্থা চালু করতে হবে। সোমবার স্বাস্থ্যভবনে মুখ্যসচিবের সঙ্গে চিকিৎসকরা(Junior Doctors Protest) বৈঠক করেছিলেন। সেখানেও জানানো হয়েছিল। মঙ্গলবার রাজ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হল কেন্দ্রীয় ডিজিটাল রেফারাল ব্যবস্থা। সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার(Junior Doctors Protest) সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম সমস্ত হাসপাতালে ১ নভেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়িত করার নির্দেশ দিয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলায় চালু হল এই ব্যবস্থা। এই সেন্ট্রাল রেফারেল ব্যবস্থার জন্য আলাদা করে খোলা হল পোর্টাল। রোগীকে রেফার করার সময় পোর্টালের মাধ্যমে দেখা যাবে বিভিন্ন হাসপাতালে কোন বিভাগে কতগুলো বেড রয়েছে। কোথায় কটি শয্যা খালি আছে দেখা যাবে প্রত্যন্ত গ্রামের হাসপাতাল থেকেও। তারপরেই সেই হাসপাতাল থেকে পাঠানো হবে বার্তা। জানানো হবে হাসপাতালে রোগী ভর্তি সম্ভব কি না। তারপরেই হাসপাতালে রেফার করা হবে। এই সেন্ট্রাল রেফারেল ব্যবস্থার জেরে রোগীর পরিবারকে আর এই হাসপাতাল থেকে সেই হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে ঘুরতে হবে না। রোগী ও রোগীর পরিবারের মূল্যবান সময় বাঁচবে। এক্ষেত্রে জুনিয়র চিকিৎসকদের ঘাড়েই বাড়তি দায়িত্ব চাপানো হচ্ছে বলে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা অভিযোগ করেন।
অনেক ক্ষেত্রে মুহূর্ষ রোগীকে শহরের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বেড না থাকার কারণে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ঘুরতে হয়। অবশেষে যখন কোনও হাসপাতালে বেড পাওয়া যায়, তখন রোগীর প্রায় শেষ অবস্থা। রোগীর পরিবারের ক্ষোভ এসে পড়ে চিকিৎসকদের ওপর। আন্দোলনকারীরা জানান, এক্ষেত্রে রোগীর পরিবারের ওপর কোনও চাপ পড়বে। যার ফলে মুহূর্ষ রোগীর চিকিৎসা দ্রুত সম্ভব হবে।
অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের তরফে সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেমের বিষয়ে রাজ্যকে কঠোর বার্তা পাঠানো হয়েছে। জানানো হয়েছে, ১ নভেম্বরের মধ্যেই এই সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে বাস্তবায়িত করতে হবে।