অনশনের সাত (Juinior Doctors Protest)দিন পেরিয়ে গিয়েছে। অনিকেত, আলোকের পর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় অনুষ্টুপকে হাসপাতালে (Juinior Doctors Protest) ভর্তি করা হয়েছে। বাকি যাঁরা অনশন করছেন, তাঁদের শারীরিক অবস্থার (Juinior Doctors Protest) দ্রুত অবনতি হচ্ছে। অন্যদিকে, দুই জন জুনিয়র চিকিৎসক (Juinior Doctors Protest) নতুন করে অনশন শুরু করেছেন শুক্রবার থেকে। রবিবার অনশন মঞ্চ থেকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা(Juinior Doctors Protest)। তাঁরা বলেন, এক জন হাসপাতালে গেলে, ১০ জন অনশনের জন্য তৈরি রয়েছে। কিন্তু দাবি আদায়ের আগে তাঁরা আন্দোলন থেকে কোনওভাবেই সরবেন না।
জুনিয়র চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ বলেন, তিনটে ডাক্তার ৭ দিন অনশন করে আজ আইসিইউ-তে ভর্তি। এরপরও যদি আমাদের দাবিকে সরকারের মনে হয় অন্যায্য দাবি, বা আমরা অন্যায় দাবি করছি তাহলে সত্যি কিছু বলার নেই। একজন অনিকেত মাহাতো, একজন অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, একজন আলোক ভার্মা হাসপাতালে গেলে আরও ১০ জন অনিকেত, অনুষ্টুপ, আলোক-রা তৈরি আছে। আমাদের মনোবল অনড় আছে।
একই সুর জুনিয়র ডাক্তার আশফাকুল্লা নাইয়ার গলাতেও। তিনি বলেন, এক এক জন করে হাসপাতালে ঢুকব, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে পরিশুদ্ধ করব। আমরা শেষ দেখে ছাড়ব। পাথর গলে জল হবেই।
আগেই গুরুতর অবস্থায় অনিকেত মাহাতোকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার বিকেলের দিকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসক আলোক ভর্মাকে হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাতের দিকে অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। রক্তক্ষরণ, কালো পায়খানা, অসহ্য পেটে ব্যথা নিয়ে অনুষ্টুপকে হাসপাতালে ভর্তি করা। দ্রুত চিকিৎসা শুরু হয়। মেডিক্যাল কলেজের তরফে আট চিকিসকের একটি দল গঠন করা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রাতের থেকে পেটে ব্যথা অনেকটা কমেছে। এখনও উদ্বেগ রয়েছে। তবে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন অনুষ্টুপ। অনশন মঞ্চে জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, হাসপাতালে যাওয়ার আগে অনুষ্টুপের কথা জড়িয়ে যাচ্ছিল।