সোমবার বিকেল পাঁচটার সময় নবান্নে জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors) সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। নবান্নের তরফে জুনিয়র চিকিৎসকদের (Junior Doctors) জানানো হয়েছিল, অনশন তোলার পরেই আলোচনা হবে। রবিবার জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors) সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। সেখানে জানানো হয়, অনশন প্রত্যাহার না করেই তাঁরা (Junior Doctors) সোমবার যথাসময়ে নবান্নে পৌঁছাবেন। এই বিষয়ে মুখ্যসচিবকে জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors) ইমেল করেছেন বলেও জানান।
৫ অক্টোবর থেকে জুনিয়র চিকিৎসকরা ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলের সামনে বৈঠক করেন। শনিবার সেই আন্দোলনে হঠাৎ করেই আসেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী ও ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। মুখ্যসচিবের ফোনে জুনিয়র চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। সেই সময় সোমবার বিকেল পাঁচটার সময় নবান্নে বৈঠকের কথা ঠিক হয়। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পাঁচটা মানে কিন্তু পাঁচটাই। আমাকে ২-৩ ঘণ্টা বসিয়ে রাখবেন না। আমার অনেক কাজ আছে।”
এরপরেই নবান্নের তরফে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে ইমেল আসে। সেখানে অনশন প্রত্যাহার করে বৈঠকে আসতে হবে বলে জানানো হয়। পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকদের ১০ জন প্রতিনিধি আসতে পারবেন। শনিবার অনেক রাত পর্যন্ত জুনিয়র চিকিৎসকর জিবি করেন। রবিবারও জুনিয়র চিকিৎসকরা জিবি করেন। এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে বৈঠক জিবি হয়। এরপরেই জুনিয়র চিকিৎসকরা সাংবাদিক সম্মেলন করেন। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, আমরা সঠিক সময়েই নবান্নে পৌঁছে যাবো। অনশনকারীদের নবান্নে নিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে দেবাশিস হালদার বলেন, “অনশনকারীরা যেতে চাইছেন। কিন্তু ওদের নিয়ে যেতে চাইলে এই ন্যারেটিভ আসবে যে ওদের নিয়ে রাজনীতি করছি। ওদের শারীরিক অবস্থা ক্রিটিকাল। ঝুঁকি নিতে পারি না। সহযোদ্ধাদের এমন জায়গায় ঢোকাতে পারি না যেখানে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারে।”
মু্খ্যসচিব মনোজ পন্থ জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন প্রত্যাহার করে বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু বৈঠকের আগে অনশন প্রত্যাহার করা হচ্ছে না বলে জুনিয়র চিকিৎসকরা সাফ জানিয়ে দেন। অনশন তোলার বিষয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরেই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান। মু্খ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের ১০ দফা দাবি নিয়ে সদর্থক আলোচনা হবে বলে জুনিয়র চিকিৎসকরা জানান।