নবান্নের বৈঠকের পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন (Hunger Strike) উঠবে? জুনিয়র চিকিৎসকরা অনশন (Hunger Strike) না করলে মঙ্গলবার সারা রাজ্যব্যাপী চিকিৎসকরা ধর্মঘটে যাবেন বলে সাফ জানিয়েছিলেন। তাই জুনিয়র চিকিৎসকরা নবান্নের বৈঠকের পর অনশন (Hunger Strike) তুলছেন কি না, সেটা নিয়ে সারা রাজ্যের প্রশ্ন ছিল। তবে জুনিয়র চিকিৎসকরা জানালেন, তাঁরা অনশন (Hunger Strike) তুলে নিচ্ছেন। পাশাপাশি তাঁরা জানান, আগামীকালের চিকিৎসকদের ধর্মঘটও তাঁরা তুলে নিচ্ছেন।
নবান্নের বৈঠকের পর জুনিয়র চিকিৎসকরা প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেন। তারপরেই তাঁরা জানান, তাঁরা আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অনুরোধে তাঁরা অনশন তুলে নিচ্ছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, অনশন তুললেও আন্দোলন থেকে সরছেন না। অনশন তোলার পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকরা আরও একটা কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তাঁরা খুশি নন। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, এই বৈঠকে প্রশাসনের শরীরী ভাষা পজিটিভ লাগেনি। কারণ ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ব্যাজ পরে আমাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ওখানে আমাদের প্রিন্সিপালদের চুপ করিয়ে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী সবই জানেন। প্রশাসনের শরীরী ভাষা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট নই।
পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মার অনুরোধে তাঁরা এই অনশন তুলছেন। দেবাশিস হালদার বলেন, “তিলোত্তমার মা-বাবা ও সমাজের বিশিষ্টজনের কথার সম্মান রেখে আমরণ অনশন প্রত্যাহার করছি। এই গোটা বিষয় রাজি করাতে কাকু-কাকিমা রাজি করিয়েছেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্য ধর্মঘটও প্রত্যাহার করলাম।” আগামী শনিবার কনভেনশনের ডাক দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
জুনিয়র চিকিৎসক অর্নব মুখোপাধ্যায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অনশন তোলার ঘোষণার পর জুনিয়র চিকিৎসক অর্নব মুখোপাধ্যায় বাথরুমে যান। ফেরার পর তিনি বলেন, তাঁর শরীর ভালোলাগছে না। তাই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হতে চান। এরপরেই তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে এসএসকেএমে নিয়ে আসা হয়। তিনি এসএসকেএমে নেফ্রলজি বিভাগের পিজিটি প্রথম বর্ষের ছাত্র।